চন্দ্রগঞ্জের ওসি ও দত্তপাড়া ইউপি চেয়ারম্যানকে হাইকোর্টে তলব

 

সুপ্রিম কোর্টএক শ্রমিককে গ্রাম্য শালিসে প্রকাশ্যে বেত্রাঘাত ও নাকে খত দিতে বাধ্য করায় লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জথানার ওসি ও ওই দত্তপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। তাদের আগামী ৩ জুলাই সশরীরে হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া নির্যাতিত মাটি কাটা শ্রমিক নুরুল আমিনের পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে লক্ষ্মীপুরের পুলিশ সুপারকে (এসপি) নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর অবকাশকালীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

শ্রমিক নির্যাতনের ঘটনায় সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী মো. তাছেব হোসাইন জনস্বার্থে এই রিট দায়ের করেন। গত ১৮ জুন একটি জাতীয় দৈনিকে 'এ কেমন বিচার!' শিরোনামে প্রকাশিত সংযুক্ত করে রিটটি দায়ের করেন তিনি।

রিটের বিবরণ থেকে জানা যায়, লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আহসানুল কবির রিপন ২৮ মে গ্রাম্য শালিসে শ্রমিক নুরুল আমিনকে বাড়ি থেকে ধরে এনে প্রকাশ্যে নাকে খত দিতে বাধ্য করেন। এ সময় তার (চেয়ারম্যান) নির্দেশে গ্রাম পুলিশ জাহাঙ্গীর আলম ওই শ্রমিককে ১০ থেকে ১১টি বেত্রাঘাত করেন। অভিযোগকারী শহীদ ও তার স্ত্রীর পায়ে ধরে দুই দফায় ক্ষমা চেয়েও রক্ষা পাননি তিনি। শহীদ নামে আরেক মাটি কাটা শ্রমিকের সঙ্গে বিবাদকে কেন্দ্র করে চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগ করলে তিনি ইউনিয়নের বড় আউলিয়া গ্রামে শালিসের আয়োজন করেন।

/এমটি/এমএনএইচ/