বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যায়ন কর্তৃপক্ষের সহকারী পরিচালক মো. লোকমান হোসেন স্বাক্ষরিত এই প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেন ব্যারিস্টার কাজী মাইনুল হাসান। রিটের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. হুমায়ুন কবির। এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য আগামীকাল সোমবার দিন ধার্য করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জেলা শিক্ষা অফিসারদের মাধ্যমে সংগৃহীত দেশের সব বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পদ ও বিষয় ভিত্তিক ২২ হাজার ৫৬৭টি পদের একটি তালিকা আদালতের বিবেচনার জন্য পেশ করা হলো। প্রায় প্রতিদিন প্রতিমাসে অবসর, মৃত্যু, চাকরি ত্যাগ ইত্যাদি নানাবিধ কারণে শূন্যপদের সংখ্যা পরিবর্তিত হয়।
প্রতিবেদনে উত্তীর্ণ সনদধারীদের মেধাতালিকা সম্পর্কে বলা হয়েছে, ১ম থেকে ৭ম নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের উপজেলা ও জেলা ভিত্তিক কোন কোন তথ্য এনটিআরসিএ-এর দফতরে সংরক্ষিত না থাকায় ওই ৭টি নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মেধা তালিকা প্রকাশ করা সম্ভব নয়। এরপরও আদালত প্রয়োজন মনে করলে ১ম থেকে ৭ম নিবন্ধন এবং বিশেষ নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ২ লাখ ৪৩ হাজার ৬৮৩ জন প্রার্থীর জেলা, উপজেলার তথ্য নতুন করে সংগ্রহ করে একটি মেধা তালিকা তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হবে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ৮ম থেকে ১২তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের উপজেলা, জেলা ও জাতীয় ভিত্তিক মেধাক্রম অনুযায়ী বিষয় ভিত্তিক মেধা তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে।
এর আগে গত ২৮ মে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১ম থেকে ১২তম নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সনদধারীদের মেধাতালিকা প্রস্তুত ও প্রকাশের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এই সময়ের মধ্যে সমগ্র বাংলাদেশের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকের শূন্যপদের তালিকা চাওয়া হয়। এছাড়া আদালত নিবন্ধন সনদের মেয়াদ ৩ বছর নির্ধারণ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না ও নিবন্ধন সনদধারীদের কেন নিয়োগ দেওয়া হবে না, এই মর্মে রুলও জারি করেন।
গত ২৫ মে নিবন্ধন সনদধারী সিরাজগঞ্জের লিখন কুমার সরকারসহ বিভিন্ন জেলার ১৪৯ জন সনদের মেয়াদ ৩ বছর নির্ধারণের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন।
/এমটি/এমএনএইচ/