মুসা বিন শমসেরের দেশত্যাগ ঠেকাতে পুলিশকে শুল্ক গোয়েন্দার চিঠি

 

মুসা বিন শমসের (ফাইল ছবি: সংগৃহীত)
মুসা বিন শমসের (প্রিন্স মুসা) যেন দেশত্যাগ করতে না পারেন, সে ব্যাপারে পুলিশের বিশেষ শাখাকে (এসবি) অনুরোধ জানিয়েছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর। মঙ্গলবার পুলিশকে এই চিঠি পাঠানো হয়েছে। শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মইনুল খান বলেন, ‘প্রিন্স মুসার বিরুদ্ধে গ্রেফতারযোগ্য মামলা রয়েছে। কিন্তু তিনি তদন্ত কর্মকর্তাদের কোনোভাবেই সহায়তা করছেন না। মুসা দেশত্যাগ করতে পারেন, এই আশঙ্কা থেকেই,  তার বিষয়ে এসবিকে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।’

উল্লেখ্য, গত ৩১ জুলাই মুসা বিন শমসেরের বিরুদ্ধে অর্থপাচার প্রতিরোধ (মানি লন্ডারিং) আইনে মামলা দায়ের করে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর। মামলার অভিযোগে বলা হয়, বিলাসবহুল গাড়ি ব্যবহার করে ২ কোটি ১৭ লাখ টাকা শুল্ক ফাঁকি ও সুইস ব্যাংকে জমা রাখা ৯৬ হাজার কোটি টাকার বৈধ উৎস দেখাতে পারেননি মুসা।

এর আগে গত ২১ মার্চ মুসা বিন শমসেরের ব্যবহার করা একটি বিলাসবহুল গাড়ি আটক করেন শুল্ক গোয়েন্দারা। রেঞ্জ রোভার গাড়িটি শুল্ক মুক্ত সুবিধায় আনা হয়। বিআরটিএ-এর কর্মকর্তার যোগসাজশে ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে মুসা ১৭ লাখ টাকা শুল্ক পরিশোধের ভুয়া বিল অব এন্ট্রি দেখিয়ে গাড়িটি বেনামে নিবন্ধন করেন। ওই গাড়িটি নিবন্ধন করা হয় পাবনার ফারুকুজ্জামান নামের এক ব্যক্তির নামে। গাড়িটি আটকের পর তা ভাড়ায় চালানো হয় বলে মুসার পক্ষ থেকে দাবি করা হলেও কোনও কাগজপত্র তিনি শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের দেখাতে পারেননি।

এদিকে শুল্ক গোয়েন্দাদের মুসা লিখিতভাবে জানান, ‘সুইস ব্যাংকে তার ৯৬ হাজার কোটি টাকা গচ্ছিত আছে।’ কিন্তু টাকার বৈধ উৎস তিনি দেখাতে পারেননি। এ বিষয়ে যথাযথ ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য চিঠি দেওয়া হলেও মুসা কোনও তথ্য দেননি। পরবর্তী সময়ে তার বিরুদ্ধে মামলা করতে দুদককে সুপারিশ করা হয়। একইসঙ্গে মানি লন্ডারিং আইনের মামলার জন্য রাজস্ব বিভাগের কাছে অনুমতি চায় শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর। অনুমতি পাওয়ার পর তার বিরুদ্ধে ৩১ জুলাই মামলাটি দায়ের করা হয়।ওই মামলার তদন্ত চলছে।