রাজধানীতে ঠিকাদারকে হত্যার অভিযোগ

হত্যারাজধানীর কদমতলীতে মাথায় আঘাত করে এক ঠিকাদারকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। তার নাম মো. সোহেল (৪০)। শনির আখড়ার পাটেরবাগ এলাকার একটি কারখানায় চুক্তিভিত্তিক বাইন্ডিংয়ের কাজ করতেন তিনি। এখানকার কারিগর ইকবালের বিরুদ্ধে উঠেছে এই হত্যার অভিযোগ।
পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) রফিকুল ইসলাম জানান, মাথায় আঘাত পেয়ে গত ৫ নভেম্বর দিবাগত রাতে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি হন সোহেল। পরে পান্থপথের একটি হাসপাতালে নেওয়া হয় তাকে। তারপর আবার স্থানান্তর হন তিনি। বুধবার (৮ নভেম্বর) বিকালে গ্রিন রোডের একটি হাসপাতালে ভর্তি থেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সোহেল।
খবর পেয়ে তার মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায় পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনরা লাশ নিয়ে গেছেন।
নিহতের ভাই মো. জুয়েলের অভিযোগ, গত ৫ নভেম্বর দিবাগত রাত ৩টার দিকে ঘুমন্ত অবস্থায় সোহেলকে লোহার পাত দিয়ে মাথায় আঘাত করে পালিয়ে যায় ইমরান মিয়ার কারখানার কারিগর ইকবাল। তিনি বলেন, ‘আমার ভাইয়ের গ্রামের বাড়িতে কিছু জমি কেনার কথা ছিল। তাই জমানো টাকা ও মালিকের কাছ থেকে আরও কিছু টাকা নিয়ে ব্যাগে রেখেছিলেন তিনি। সম্প্রতি তার গ্রামে যাওয়ার কথা ছিল। আমার ধারণা, ভাইকে মাথায় আঘাত করে তার টাকা নিয়ে পালিয়েছে ইকবাল।’

সোহেল হলেন টাঙ্গাঈলের নাগরপুর উপজেলার কুনিপাড়া গ্রামের মো. মহারাব মিয়ার ছেলে। শনির আখড়ায় তিনি থাকতেন কারখানার পাশেই। তার স্ত্রীর নাম বুলবুলি বেগম। তাদের এক ছেলে ও এক মেয়ে আছে।