অভিজিৎ হত্যা মামলা: আদালতে দোষ স্বীকার জঙ্গি সায়মনের

মোজাম্মেল হোসেন সায়মন ওরফে শাহরিয়ারলেখক অভিজিৎ রায় হত্যা মামলায় গ্রেফতার মোজাম্মেল হোসেন সায়মন ওরফে শাহরিয়ার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। জবানবন্দিতে সায়মন জানায়, তার সংগঠনের অন্য জঙ্গিদের সহযোগিতায় অভিজিৎ রায় হত্যাকাণ্ডে সে সরাসরি জড়িত ছিল। রবিবার  ঢাকা মহানগর মুখ্য হাকিমের আদালতে এই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় সায়মন। এর আগে শনিবার (১৮ নভেম্বর) বিকালে রাজধানীর তুরাগের বাউনিয়ার বাদালদি এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের একটি দল।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) জনসংযোগ বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মাসুদুর রহমান জানান, ‘তদন্ত কর্মকর্তা ও ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ইনস্পেক্টর ফজলুর রহমান আসামি সায়মনকে আদালতে নিয়ে যান। সায়মন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলে তাকে কারাগারে পাঠিয়ে দেন আদালত।’

ডিসি মাসুদুর রহমান আরও জানান, ‘‘আসামি মোজাম্মেল হুসাইন নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের (আনসারুল্লা বাংলা টিম) ইনটেলিজেন্স ও মিডিয়া উইং-এর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করতো। এছাড়া সে ফেসবুক পেজ জঙ্গির সঙ্গে কথোপকথন,  বালাকট মিডিয়া, আল হিকমা মিডিয়া, অনুসন্ধিৎসু মিডিয়ার পরিচালনার দায়িত্বে ছিল।’’ তিনি আরও  বলেন, ‘সায়মন তার সংগঠনের অন্য জঙ্গিদের সহযোগিতায় অভিজিৎ রায় হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত ছিল বলে আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছে।’

আদালতে সায়মন আরও জানায়, তাদের সংগঠনের বড় ভাইয়ের (মেজর জিয়া) নির্দেশে ও পরিচালনায় এ হত্যাকাণ্ডে তারা অংশ নেয়। অভিজিতের হত্যাকারীদের ভিডিও ফুটেজে  প্রকাশিত আসামিদের অন্যতম ছিল সে। জুলহাস-তনয়, নিলয় ও দীপন হত্যাকাণ্ডসহ আনসার আল ইসলামের সব হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছে সায়মন।’

২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি একুশে বই মেলায় দুর্বৃত্তরা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আমেরিকান নাগরিক লেখক ও ব্লগার অভিজিৎ রায় ও তার স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যার ওপর হামলা চালায়। দু’জনকে নির্মমভাবে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অভিজিৎ রায় মারা যান। অভিজিতের স্ত্রী চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বর্তমানে আমেরিকায় বসবাস করছেন।