এদিকে, আকায়েদের স্ত্রীর এক বান্ধবী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এসএসসি পাসের পর আকায়েদ পিলখানাস্থ মুন্সী আব্দুর রউফ স্কুল অ্যান্ড কলেজে ভর্তি হয়, সেখানে এসএসসি ও এইচএসসি পাস করে। এরপর সে ঢাকা সিটি কলেজ থেকে বিবিএ-তে ভর্তি হয়। কিন্তু বিবিএ শেষ না করেই ২০১১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যায়।’ তিনি আরও বলেন, ‘২০১৩ সালে নিউ ইয়র্কে তার বাবা মারা যান। এরপর থেকে আকায়েদ নামাজ পড়া শুরু করে।’
আকায়েদের স্ত্রীর ওই বান্ধবী জানান, ‘আকায়েদরা তিন ভাই, দুই বোন। তারা ২০১১ সালে পাঁচ ভাই-বোনই যুক্তরাষ্ট্রে চলে যায়। এর আগে তারা হাজারীবাগ এলাকায় থাকতো। এখানেই সে বড় হয়েছে। ওই সময় আর দশটি সাধারণ ছেলের মতোই পড়াশোনা করে ও বেড়ে ওঠে।’ তিনি আরও জানান, ‘প্রতিদিন সকালে আকায়েদকে মোবাইলফোনে কল দিয়ে ঘুম থেকে জাগিয়ে দিতেন আকায়েদের স্ত্রী। সোমবারও ফোন করে জাগিয়ে দিয়েছেন। এ সময় তাদের একটু কথা হয়েছে।’
আকায়েদের শ্যালক হাফিজ মাহমুদ জয় বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, আকায়েদ এই বছরের সেপ্টেম্বর মাসে ঢাকা আসে। তখন সে নামাজ পড়তো। তখন তাকে ধর্মকর্ম করতে দেখেছি। সে আর দশটা সাধারণ মানুষের মতোই চলতো।’
উল্লেখ্য, সোমবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের টাইমস স্কয়ারের কাছে পোর্ট অথরিটি বাস টার্মিনালে বিস্ফোরণ ঘটে। এর সঙ্গে আকায়েদ উল্লাহ নামে এক বাংলাদেশি যুবকের সংশ্লিষ্টতা পায় নিউ ইয়র্ক পুলিশ। বিস্ফোরণে তার শরীরপুড়ে যাওয়ার পাশাপাশি জখম হয়েছে। এখন সে হাসপাতালে।
আকায়েদের বাড়ি বাংলাদেশের চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে। ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বাবা-মায়ের সঙ্গে সে যুক্তরাষ্ট্রে যায়। পরে আকায়েদ স্থায়ী মার্কিন নাগরিক হিসেবে নিউ ইয়র্কের ব্রুকলিনে বসবাস করতে শুরু করে। সেখানে ড্রাইভিংয়ের কাজ করতো সে।
আরও পড়ুন: আকায়েদ যুক্তরাষ্ট্রের ‘হোম গ্রোন’ সন্ত্রাসী, জানিয়েছে বাংলাদেশ