তুরাগে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে লাইনম্যানের মৃত্যু

নিহত মো. আব্দুর রাজ্জাক হোসেন রাজধানীর তুরাগ থানার দিয়াবাড়ীতে প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (পিএনডি) কাজ করার সময় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান খান পাওয়ারের এক লাইনম্যান বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছেন। নিহতের নাম মো. আব্দুর রাজ্জাক হোসেন (৩০)। মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টা ১০মিনিটের দিকে বিদ্যুৎলাইনে কাজ করার সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে। উত্তরা ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তাকে উদ্ধার করে উত্তরা আধুনিক হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। একই ঘটনায় আরও এক শ্রমিক গুরুতর আহত হয়েছেন।

উত্তরা ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার শফিকুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করি। তিনি বিদ্যুতের তারে আটকে ছিলেন। গুরুতর আহত অবস্থায় উত্তরা আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’

ঢাকা ইলেক্ট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটডের (ডেসকো) সহকারী প্রকৌশলী সোহেল কবীর বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘মেট্রোরেলের রুট এলাকায় বৈদ্যুতিক লাইন মাটির নিচ দিয়ে নেওয়ার কাজ করছিল তারা। কাজ করার সময় আমাদের লাইন দুই দিক থেকেই বন্ধ ছিল। আমরা ধারণা করছি— জেনারেটর থেকে ব্যাক পিকের কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। এর আগেও এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে।’

তিনি বলেন, ‘মেট্রোরেলের রুটে কোনও বৈদ্যুতিক লাইন উপরে থাকবে না। সেগুলো পর্যায়ক্রমে মাটির নিচ দিয়ে নেওয়া হচ্ছে। দিয়াবাড়ির এই অঞ্চলের রুটে অল্প কাজ। একদিন কাজ করলেই হয়ে যেতো। এর মধ্যেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। ডেসকোর কাছ থেকে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান খান পাওয়ার কাজটি পেয়েছে। তারাই এই কাজ করছে। নিহত আব্দুর রজ্জাক হোসেন তাদের শ্রমিক। তার গ্রামের বাড়ি ঝালকাঠি।’

তুরাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শফিকুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা উত্তরা আধুনিক হাসপাতাল থেকে তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছি। নিহত রাজ্জাকের গ্রামের বাড়ি ঝালকাঠির তারুলী এলাকায়। এই ঘটনায় আরও একজন আহত হয়েছে। তাকেও হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।’