ঘুষের টাকাসহ গ্রেফতার হওয়া নৌ-মন্ত্রণালয়ের প্রধান প্রকৌশলী বরখাস্ত

গ্রেফতারের পর নৌপরিবহন অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী ড. এসএম নাজমুল হকনৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের চিফ ইঞ্জিনিয়ার অ্যান্ড শিপ সার্ভেয়ার (চলতি দায়িত্ব) এসএম নাজমুল হককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। রবিবার (১৫ এপ্রিল) নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছে। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম খান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত (বৃহস্পতিবার)  ১২ এপ্রিল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কর্তৃক তাকে গ্রেফতারের পরিপ্রেক্ষিতে গ্রেফতারের তারিখ থেকে তাকে সাময়য়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, নৌযানের নকশা অনুমোদন ও নামকরণে অনাপত্তিপত্রের জন্য পাঁচ লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার সময় নৌপরিবহন অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী ড. এসএম নাজমুল হককে ১২ এপ্রিল বিকেল ৫টা ৪৫ মিনিটে সেগুন বাগিচার ‘সেগুন হোটেল’ থেকে গ্রেফতার করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

এই প্রসঙ্গে দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য  জানিয়েছেন, মেসার্স সৈয়দ শিপিং লাইন্সের এমভি প্রিন্স অব সোহাগ নামের একটি যাত্রীবাহী নৌযানের রিসিভ নকশা অনুমোদন এবং নতুন নৌযানের নামাকরণের অনাপত্তিপত্র দেওয়ার জন্য প্রধান প্রকৌশলী ড. এসএম নাজমুল হকের কাছে গেলে তিনি ১৫ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বিষয়টি দুদককে জানালে, কমিশন সব বিধি-বিধান অনুসরণ করে ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক নাসিম আনোয়ারকে সার্বিক নেতৃত্বে ফাঁদ মামলা পরিচালনার অনুমতি দেওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টা ৪৫ মিনিটে ঘুষের টাকার কিস্তি বাবদ ৫ লাখ টাকা রাজধানীর সেগুন হোটেলে বসে যখন প্রধান প্রকৌশলী নাজমুল হক গ্রহণ করছিলেন, ঠিক তখনই ওঁত পেতে থাকা দুদকের বিশেষ টিমের সদস্যরা তাকে গ্রেফতার করেন।

রাজধানীর রমনা মডেল থানায় দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১-এর সহকারী পরিচালক আবদুল ওয়াদুদ বাদী হয়ে এ বিষয়ে মামলা দায়ের করেন।