প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সঙ্গীত ও ক্রীড়া বিষয়ক শিক্ষক নিয়োগ হচ্ছে

‘উদ্ভাবনী মেলা ও শোকেসিং ২০১৮’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মো. মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংগীত ও ক্রীড়া শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মো. মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার। রবিবার (২৪ জুন) দুপুরে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর আয়োজিত ‘উদ্ভাবনী মেলা ও শোকেসিং ২০১৮’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ তথ্য জানান।

মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন প্রকল্পের (পিইডিপি) প্রস্তাবনা, আমরা প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংগীত ও ক্রীড়া শিক্ষক নিয়োগ দেবো। প্রাথমিক শিক্ষার মান এগিয়ে যাচ্ছে। শিক্ষার্থীদের সঠিক শিক্ষা দিয়ে তাদের মেধা ও শরীর সঠিকভাবে গড়ে তুলতে হবে। শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্তরিকতা বাড়াতে হবে। শিক্ষার্থীদের ক্লাসকে আরও প্রাণবন্ত করে তুলতে প্রতিটি স্কুলে ক্রীড়া ও সংগীত বিষয়ের শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য সড়কে কানেক্টটিভি দেওয়া হবে।’

রবিবার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের উদ্যোগে দুদিনব্যাপী উদ্ভাবনী মেলা শুরু হয় মিরপুরের অধিদফতরে। প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে ৩০টি প্রতিষ্ঠান তাদের উদ্ভাবনী আইডিয়া প্রদর্শন করে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘অল্প সময়ের মধ্যে সারা দেশে মোবাইলের মাধ্যমে উপবৃত্তি দেওয়া, মিড-ডে মিল চালু করা সম্ভব হয়েছে। বর্তমানে আরও বিভিন্ন ধরনের উদ্ভাবনী আইডিয়া নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। এরমধ্যে পেনশন সহজীকরণ, ই-মনিটরিং সিস্টেম, ডিপিই অ্যাকাউন্টিং সিস্টেম, ই-প্রাইমারি স্কুল সিস্টেম ও প্রাথমিক বিদ্যালয় ই-ব্যবস্থাপনা, টিচার রিক্রুটমেন্ট সিস্টেম, আমার স্বপ্ন আমার স্কুল, প্রয়াস, সততার দোকান, কর্মবীর অন্যতম।’ তিনি আরও বলেন, ‘উন্নয়নের মহাসড়কে ধাবমান বাংলাদেশের মানবসম্পদের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়নে সব শিশুর জন্য মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করা সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার। এ লক্ষ্য নিয়ে আমরা সবাই স্ব-স্ব স্থান থেকে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক আবু হেনা মোস্তফা কামালের সভাপত্বিতে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আসিফ উজ জামান, অতিরিক্ত সচিব এফ এম মঞ্জুর কাদির, অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. রমজান আলী। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন রাজধানীর বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী-শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, মন্ত্রণালয় ও অধিদফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।