হলমার্কের চেয়ারম্যান জেসমিনের মেডিক্যাল রিপোর্ট চেয়েছেন হাইকোর্ট



জেসমিন ইসলাম (ফাইল ছবি)দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা অর্থ আত্মসাতের মামলায় জামিন প্রশ্নে জারি করা রুল শুনানিতে হলমার্ক গ্রুপের চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলামের মেডিক্যাল রিপোর্ট চেয়েছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার (১৭ জুলাই) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি ড. কেএম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে জেসমিন ইসলামের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী আব্দুল মতিন খসরু। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রুনা নাহরীন ও একেএ আমিন উদ্দিন। দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান।
শুনানি শেষে একেএম আমিন উদ্দিন জানান, হলমার্ক গ্রুপের চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলামের আইনজীবীরা তার অসুস্থতার কথা আদালতে জানালে বিচারক কারা দুই সপ্তাহের মধ্যে কারা কর্তৃপক্ষকে এই আসামির মেডিক্যাল রিপোর্ট দাখিল করার নির্দেশ দেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ১ নভেম্বর জেসমিন ইসলামসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে রাজধানীর মতিঝিল থানায় মামলা করেন দুদকের উপসহকারী পরিচালক জয়নাল আবেদিন। মামলার দিন বিকালে দুদকের একটি দল রাজধানীর বংশাল থেকে জেসমিন ইসলামকে গ্রেফতার করে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, হলমার্কের চেয়ারম্যান ও এমডি তাদের প্রতিষ্ঠানের বেতনভুক্ত কর্মচারী মো. জাহাঙ্গীর আলমকে আনোয়ারা স্পিনিং মিলসের মালিক ও মীর জাকারিয়াকে ম্যাক্স স্পিনিং মিলসের মালিক সাজিয়ে জনতা ব্যাংকের জনতা ভবন করপোরেট শাখায় একটি হিসাব খোলেন। প্রতিষ্ঠান দুটির মাধ্যমে ব্যাক-টু-ব্যাক এলসির কোনও মালামাল আমদানি-রফতানি না হওয়ার পরও আমদানি-রফতানির ভুয়া রেকর্ডপত্র তৈরি করেন। ওই সব রেকর্ড ব্যাংকটির ওই শাখা থেকে সোনালী ব্যাংকের শেরাটন করপোরেট শাখায় পাঠানো হয়। সোনালী ব্যাংক থেকে ওই কাগজপত্রের বিপরীতে আনোয়ারা স্পিনিং মিলস ও ম্যাক্স স্পিনিং মিলসের হিসাবে বিলের সমপরিমাণ মূল্য ৮৫ কোটি ৮৭ লাখ ৩৩ হাজার ৬১৬ টাকা জমা হয়, যা তুলে নিয়ে আত্মসাৎ করা হয়েছে।
মামলায় জেসমিন ইসলামসহ ১৬ জনকে আসামি করা হয়। এ মামলায় গত বছরের ১৭ আগস্ট বিচারিক আদালত জেসমিন ইসলামের জামিন নামঞ্জুর করেন। এরপর তিনি হাইকোর্টে আবেদন করেন। হাইকোর্ট একই বছরের ৫ নভেম্বর তার জামিন প্রশ্নে রুল জারি করেন। সেই রুল মঙ্গলবার শুনানির জন্য হাইকোর্টের কার্যতালিকায় আসে।
উল্লেখ্য, সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিল না করার অভিযোগে দুদকের এক মামলায় জেসমিন ইসলামকে তিন বছরের কারাদণ্ড ও ২০ লাখ টাকা জরিমানা করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত। এরপর থেকে তিনি কারাগারেই আছেন।