২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার রায়ের সময় বিদ্যুৎবিভ্রাট


ঢাকা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১আলোচিত ২১ গ্রেনেড হামলা মামলার বিচারের রায়ের সময় একঘণ্টার মধ্যে দুই দফা বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ঘটনা ঘটে। বেলা ১১টা ৩৫ মিনিটে আদালতের এজলাসে বিচারক বসার কয়েক মিনিটের মধ্যেই বিদ্যুৎ চলে যায়। এতে পুরো আদালত কিছুটা অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। এরমধ্যেই ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালের বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন তার পর্যবেক্ষন ও বিচারে বিবেচ্য বিষয়গুলো পড়তে থাকেন।

বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় জনাকীর্ণ আদালতের ভেতরে বাইরে থাকা আইনজীবী ও সাংবাদিকরা বিপাকে পড়ে যান। সাউন্ডবক্স বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিচারকের দেওয়া বক্তব্য শোনা যাচ্ছিল না। বিচারক যখন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ বিভিন্ন আসামির বিরুদ্ধে সাজা ঘোষণা করছিলেন তখনও বিদ্যুৎ ছিল না। দীর্ঘসময় পর বিদ্যুৎ এলেও কয়েক মিনিট পর আবারও চলে যায়।

অন্যদিকে, আদালত প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের সঙ্গে পুলিশের আচরণও ছিল বেশ রূঢ়। অসংখ্য আইনজীবী, পুলিশ সদস্য ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা ভেতরে ঢুকলেও সাংবাদিকদের ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। প্রথমে ভবনের বাউন্ডারির ভেতরেই ঢুকতে দেয়নি। পরে কয়েকজনকে ঢুকতে দিলেও ভবনের সামনে নিচে দীর্ঘ সময় দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। বাইরে একটি সাউন্ড বক্স দিয়ে বলা হয়, এখান থেকে শুনতে হবে। এতে সাংবাদিকরা রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল ও পুলিশ কর্মকর্তাদের কাছে প্রতিবাদ করেন। সাংবাদিকরা বলেন, তাদের বাইরে রেখে রায় ঘোষণা করা হলে সেটা হবে বিতর্কিত কাজ। পরে বেলা সোয়া ১১টার দিকে আসামিদের আদালতের ভেতরে নেওয়ার কিছু সময় পর মোশাররফ হোসেন কাজলের সহযোগিতায় সাংবাদিকরা ভেতরে ঢুকতে সক্ষম হন।