ধলেশ্বরী থেকে অবৈধ স্থাপনা অপসারণ কেন নয়: হাইকোর্ট

সুপ্রিম কোর্টমানিকগঞ্জের ধলেশ্বরী নদীর জায়গা দখল করে ডরিন পাওয়ারের বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে মানিকগঞ্জের ধলেশ্বরী নদীর অবৈধ দখল উচ্ছেদ, অবৈধ স্থাপনা অপসারণে কেন বিবাদীদের নির্দেশ দেওয়া হবে না, তাও জানতে চেয়েছেন আদালত। এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (২৩ অক্টোবর) বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

রুলে মানিকগঞ্জের ধলেশ্বরী নদীকে সিএস/আরএস রেকর্ড অনুযায়ী তার মূল সীমানা রক্ষার্থে বিবাদীদের জবাব দিতে বলেছেন হাইকোর্ট।

পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় সচিব, জ্বালানি ও খনিজ মন্ত্রণালয় সচিব, নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক ও মানিকগঞ্জের ডিসিসহ সংশ্লিষ্ট ১৩জন বিবাদীকে চার সপ্তাহের মধ্যে এসব রুলের জবাব দিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একরামুল হক।

শুনানিতে মনজিল মোরসেদ বলেন, নদীর জায়গা দখল করে কোনও প্রজেক্ট তৈরি বিদ্যমান আইন ও আদালতের রায় সমর্থন করে না। কাজেই মানিকগঞ্জের ধলেশ্বরী নদী দখল করে সেখানে ডরিন পাওয়ারের কর্মকাণ্ড অবৈধ।

এর আগে গত ২৪ জুলাই ‘ধলেশ্বরী দখল করে ডরিন পাওয়ারের বিদ্যুৎকেন্দ্র’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। পরে সংবাদটি সংযুক্ত করে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশে (এইচআরপিবি) হাইকোর্টে রিট দায়ের করে। গত ২১ অক্টোবর এই রিট দায়ের হয়। ওই রিটের শুনানি শেষে আদালত এই আদেশ দেন।