ভবন নির্মাণে নাকাল নগরবাসী

সড়কে পানি, ম্যানহোলে ঢাকনা নেই। রাস্তা ছেড়ে দিয়ে কোনওমতে যাওয়ার চেষ্টাঢাকা মহানগরীর আবাসিক এলাকাগুলোর অধিকাংশ সড়ক ব্যবহৃত হচ্ছে নির্মাণসামগ্রী রাখার স্থান হিসেবে। বাড়ি নির্মাতারা অবাধেই এসব রাস্তা ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করছেন। এ বিষয়ে সিটি করপোরেশন ও প্রশাসনের তৎপরতা তেমন একটা চোখে পড়ে না। এতে পরিবহন চলাচলে বাধার সৃষ্টি হচ্ছে। নিরুপায় হয়ে পায়ে হেঁটে চলারও উপায় নেই নগরবাসীর। নির্মাণসামগ্রী রাখার ফলে সড়কগুলোর সুয়্যারেজ লাইন বন্ধ হয়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে।

জলাবদ্ধতার কারণে নোংরা পানিতে ডুবে থাকে অনেক সড়ক। এসব সড়ক দিয়ে চলাচল করা দুঃসাধ্য হয়ে ওঠে। চলতে গিয়ে হরহামেশাই ঘটছে নানা দুর্ঘটনা। পানির নিচে থাকা ঢাকনাবিহীন ম্যানহোলে পড়ে প্রাণহানির আশঙ্কাও থাকছে। শিশু ও বৃদ্ধদের পক্ষে চলাচল করা অসম্ভব হয়ে উঠেছে। মসজিদে যাতায়াত করতে গেলেও নোংরা পানিতে পোশাক ভিজে যাচ্ছে। এসব সড়কে জিমন্যাস্টের মতো নানা শারীরিক কসরত খাটিয়ে চলতে হয়।

বাংলা ট্রিবিউনের পাঠকদের জন্য শুক্রবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে কলাবাগান থানার বশিরউদ্দিন রোডের লাল ফকিরের মাজার এলাকার একটি সড়কের কিছু ছবি তুলে ধরা হলো। ওই সড়কে ভবন নির্মাণের জন্য ইট-পাথর, রড ও বালু স্তূপ করে রাখা হয়েছে। নির্মাণসামগ্রীর কিছু কিছু ড্রেনে গিয়ে বন্ধ হয়ে গেছে সেখানকার স্যুয়ারেজ লাইন। ফলে সড়কজুড়ে উপচে পড়ছে ময়লা পানি। সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। ঢাকার অন্য অনেক এলাকার সড়কগুলোর অবস্থাও একই রকম।

ছবি: সাজ্জাদ হোসেন

নোংরা পানির ভেতর দিয়েই যেতে হচ্ছে

রাস্তা পার হতে গিয়ে শিশুটি অসহায় অবস্থায়

পানি বের হওয়ার পথ নির্মাণসামগ্রী রেখে বন্ধ করা হয়েছে

 

                 রাস্তার দুই পাশে নির্মাণসামগ্রী, মাঝে ড্রেনের মতো পানি গড়িয়ে যাচ্ছে নোংরা পানি থেকে পোশাক বাঁচিয়ে নামাজ পড়তে যাওয়ার চেষ্টা প্রায় পুরো জায়গাটাই নির্মাণসামগ্রীর দখলে    ঝুঁকিপূর্ণ চলাচল

লং জাম্পে পার হওয়ার চেষ্টা

নির্মাণসামগ্রী রাখায় তৈরি হয়েছে জলাবদ্ধতা