‘বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ভ্যালুর ওপর জরিমানার হার নির্ধারণ হওয়া উচিত’

খাদ্য ও পণ্যে ভেজাল বিরোধী অভিযান (ছবি সংগৃহীত)তথ্য গোপন করে পণ্য আমদানি ও বিক্রিসহ খাদ্য এবং পণ্যে ভেজাল মেশানো প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রাখার পাশাপাশি মোটা অংকের জরিমানার দাবি জানিয়েছেন সাংবাদিক জায়েদুল আহসান পিন্টু।

তিনি বলেন, আমাদের সামাজিক অবস্থায় প্রত্যেকেই অপরাধী। কেউ ঘোষণা না দিয়ে বিদেশ থেকে পণ্য আনছেন, কেউ কিনছেন, মানে আমরা সবাই কমবেশি জড়িত। এর বিচারিক প্রক্রিয়াও দীর্ঘ। যে কারণে এসব কাজের বিপরীতে মোটা অংকের জরিমানা করতে হবে। প্রতিষ্ঠানগুলোর ভ্যালুর ওপর নির্ভর করে প্রতিষ্ঠানগুলোকে আর্থিক শাস্তির মুখোমুখি করতে হবে। আর সবচেয়ে বড় বিষয় হলো এ ধরনের কাজ বন্ধে সচেতনতা বাড়াতে হবে।

শনিবার (২৫ মে) রাতে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল একাত্তরের একটি অনুষ্ঠানে ‘বাটা ও ইনফিনিটিকে জরিমানা’ এমন সংবাদ নিয়ে আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি এসময় আরও বলেন, আমাদের দেশের কোন কোন বড় হাউজ পণ্য ঘোষণা দিয়ে আনে না। এই ফাঁকি যখন দেওয়া হচ্ছে, তখন বিভিন্ন পণ্যে ভেজালও মেশানো হচ্ছে। তাই এসবের বিপরীতে বড় ধরনের জরিমানা করা প্রয়োজন।

বাটা এবং ইনফিনিটির মতো প্রতিষ্ঠানের ঘোষণা ছাড়া পণ্য আনার বিপরীতে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনেক কম বলে মন্তব্য করেন আলোচকরা।

ফারজানা রূপার উপস্থাপনায় আলোচনায় আরও অংশ নেন সাংবাদিক নাজমুল আশরাফ। এসময় আলোচকরা বলেন, বিদেশে রাস্তা পারাপার এবং দ্রুতগতিতে গাড়ি চালালে জরিমানা করা হয়। বিভিন্ন অপরাধের জন্যও তাদের জরিমানার সম্মুখীন হতে হয়।

সাংবাদিক নাজমুল আশরাফ বলেন, বাটার মতো প্রতিষ্ঠানকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা অনেক কম। আর জরিমানা করা কোনও স্থায়ী সমাধান না। কেন জরিমানা করার মতো কাজ করলো সেই বিষয়গুলো খুঁজে বের করে সমাধান করতে হবে। এর স্থায়ী সমাধান দরকার।

এসময় আলোচকরা আরও বলেন, উন্নত দেশে সবাই সবকিছু মেনে চলে, এর ব্যত্যয় ঘটলে জরিমানা হয়। আমাদের দেশে হয় উল্টোটা। অন্য জায়গায় সবাই নিয়ম মেনে চলে, মাঝে মধ্যে ব্যত্যয় হলে জরিমানা করা হয়। আর আমাদের দেশে সারা বছর অপকর্ম করা হয়, এর বিপরীতে মাঝে মধ্যে জরিমানা করা হয়।

এসময় ফারজানা রূপা ক্ষতিকর ৫২ পণ্য ফিরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলেও এখনও তা তুলে না নেওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন। আলোচকরা এক্ষেত্রে সমাধানের জন্য আরও কঠোর আইন এবং মাঝে মধ্যে অভিযান না চালিয়ে নিয়মিত অভিযান চালানোর কথা বলেন।

প্রসঙ্গত, শনিবার মোহাম্মদপুরে বাটা ও ইনফিনিটির শো রুমে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে আনা বিদেশি পণ্য বিক্রির অপরাধে জরিমানা করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। দুটি প্রতিষ্ঠানকেই ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ারের নেতৃত্বে অভিযানে সহকারী পরিচালক তাহমিনা আক্তার ও মাহফুজ রহমান অংশ নেন। এসময় স্থানীয় বিক্রমপুর মিষ্টান্ন ভান্ডারকেও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।