ওসি মোয়াজ্জেমের বিচার শুরু




ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন (ফাইল ছবি)ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলায় ফেনীর সোনাগাজী থানার সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। একইসঙ্গে আগামী ৩১ জুলাই সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ধার্য করা হয়। বুধবার (১৭ জুলাই) বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন মামলাটির চার্জ গঠন শেষে বিচার শুরুর এই আদেশ দেন।

মামলা থেকে মোয়াজ্জেম হোসেনের অব্যাহতি ও জামিনের আবেদন করেন তার আইনজীবী ফারুক আহমেদ। উভয় আবেদনের বিরোধিতা করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী। শুনানি শেষে উভয় আবেদন নামঞ্জুর করে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।

বুধবার সকালে ওসি মোয়াজ্জেমকে কাশিমপুর কারাগার থেকে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের হাজতখানায় নিয়ে আসা হয়। এরপর দুপুর ২টায় তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপরই বিচারক এজলাসে আসেন।

এর আগে, গত ১৬ জুন দুপুরে রাজধানীর শাহবাগ এলাকা থেকে ওসি মোয়াজ্জেমকে গ্রেফতার করে শাহবাগ থানা পুলিশ। এর পর দিন (১৭ জুন) মোয়াজ্জেম হোসেনের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

উল্লেখ্য, গত ২৭ মে ওসি মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার রীমা সুলতানা মামলার ১২৩ পৃষ্ঠার একটি প্রতিবেদন জমা দেন ট্রাইব্যুনালে। এরপর বাদীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

প্রসঙ্গত, নুসরাত জাহান রাফি সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার আলিমের পরীক্ষার্থী ছিলেন। তাকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ্দৌলার বিরুদ্ধে নুসরাতের মা শিরিন আক্তার বাদী হয়ে ২৭ মার্চ সোনাগাজী থানায় মামলা করেন। এরপর অধ্যক্ষকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই মামলায় নুসরাতের সাক্ষ্য গ্রহণের সময় তা ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে ওসি মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে।

৬ এপ্রিল পরীক্ষা দিতে গেলে নুসরাতকে কৌশলে একটি ভবনের ছাদে ডেকে তার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেওয়া হয়। পাঁচ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে ১০ এপ্রিল ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে তিনি মারা যান।