গ্রেফতারকৃতরা আবরারকে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেছে

আবরার ফাহাদ

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ রাব্বীকে হত্যার বিষয়টি প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে গ্রেফতার হওয়া ছাত্রলীগ নেতারা। মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানান, আবরার হত্যায় তার বাবার দায়ের করা মামলায় ইতোমধ্যে ১৩ জন গ্রেফতার হয়েছে। এদের মধ্যে ১০ জনের পাঁচদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। গ্রেফতার হওয়া ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়টি তদন্ত সংশ্লিষ্টদের কাছে স্বীকার করেছে।

মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, আমরা এ ঘটনার পর পরই মূল অভিযুক্তদের গ্রেফতার অভিযান শুরু করি। ইতোমধ্যে আমরা বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্য যাচাই বাছাই করা হচ্ছে।

গত ৬ অক্টোবর রাতে নিজ কক্ষ থেকে ডেকে নিয়ে ছাত্রলীগ নেতাদের কর্তৃত্বে থাকা একটি কক্ষে পিটিয়ে হত্যা করা হয় বুয়েটের ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদকে (২১)। রাত তিনটার দিকে শেরেবাংলা হলের নিচতলা ও দোতলার সিঁড়ির করিডোর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

আবরারকে হত্যার ঘটনায় ৭ অক্টোবর রাত ৮টার দিকে চকবাজার থানায় মামলা দায়ের করেন তার বাবা বরকত উল্লাহ। মামলায় ১৯ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলাটি তদন্ত করছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের দক্ষিণ বিভাগ। এ পর্যন্ত ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ১০ জনকে ৭ অক্টোবর গ্রেফতার করা হয়। ৮ অক্টোবর তাদের আদালতে উপস্থাপন করে রিমান্ড চাওয়া হলে পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। পরে ৮ অক্টোবর বিকেলে জিগাতলা থেকে একজন, ডেমরা থেকে একজন ও গাজীপুর থেকে আরেকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

আবরার হত্যায় জড়িত বাকিদেরকেও গ্রেফতার করা হবে বলে জানিয়েছেন ডিবি দক্ষিণ বিভাগের (লালবাগ জোন) অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার খন্দকার রবিউল আরাফাত লেলিন। তিনি বলেন, আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যেই বাকিদের গ্রেফতার করা সম্ভব হবে। এ ঘটনায় জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় নিয়ে আনা হবে।