বিদ্যুৎকেন্দ্রের কয়লা আমদানিতে মূসক ছাড়ে টিআইবির উদ্বেগ

টিআইবিকয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবহারের জন্য কয়লা আমদানিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ১০ ভাগ মূসক ছাড়ের সিদ্ধান্ত অপিরণামদর্শী বলছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যয় কমানোর যুক্তিতে এ সুবিধাটি দেওয়া হয়েছে বলা হলেও তার সুফল শেষ পর্যন্ত সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছাবে কিনা, সে বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছে। একইসঙ্গে কয়লা আমদানিতে মূসক ছাড় দিতে হলে তার পুরো সুফল গ্রাহক পর্যায়ে পৌঁছানো নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি। শনিবার (৭ ডিসেম্বর) টিআইবির পরিচালক (আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন) শেখ মনজুর-ই-আলম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলা হয়েছে।

পরিবেশ বিধ্বংসী হওয়ার পরও সরকার যেভাবে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনে ক্রমাগত ঝুঁকে পড়ছে, সে বিষয়ে বিজ্ঞপ্তিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘কয়লা থেকে সবচে সাশ্রয়ী মূল্যে বিদ্যুৎ পাওয়ার যুক্তি দেখিয়ে যেভাবে এর ওপর আত্মঘাতী নির্ভরশীলতা সৃষ্টি করা হচ্ছে, তারই ধারাবাহিকতায় কয়লা আমদানিতে মূসক ছাড়ের সবশেষ এই সিদ্ধান্ত। এটি সরকারের জাতীয় অঙ্গীকার, টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট ও প্যারিস চুক্তির পরিপন্থী। আমরা জানি, সরকারের অঙ্গীকার আছে ২০২০ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে ১০ শতাংশ। অথচ বর্তমানে এ হার ৪ শতাংশেরও কম। একইসঙ্গে, সরকার অঙ্গীকার করেছিল যে, ২০৫০ সালের মধ্যে ৫০ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদনে নাবয়নযোগ্য পদ্ধতি অনুসরণ করা হবে। কিন্তু তা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় কর সুবিধাসহ তেমন কোনও কৌশলগত ও কার্যকর উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না।’

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘সারা পৃথিবী যখন পরিবেশবিধ্বংসী কয়লানির্ভর জ্বালানি থেকে সরে আসতে কার্বন কর বসাচ্ছে, সেখানে কয়লা আমদানিতে কর ছাড় বাংলাদেশের জন্য আত্মঘাতী  পদক্ষেপ। এর মাধ্যমে মূলত বাংলাদেশকে কয়লা উৎপাদন কেন্দ্রের ভাগাড়ে পরিণত করার স্বার্থান্বেষী দেশীয় ও আন্তর্জাতিক মহল-ই লাভবান হবে। অন্যদিকে নিরুৎসাহিত হবে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার।’ এমন সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের জন্য সরকারের তিনি আহ্বান জানান।