ফাঁদ মামলার কারণে ঘুষের প্রবণতা কমেছে: দুদক চেয়ারম্যান

 

মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে দুদক চেয়ারম্যানদুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, ‘এবছর দুদকের কার্যক্রম ঊর্ধ্বমুখী। তদন্ত, অনুসন্ধান সবই বাড়ছে। আমাদের ওপর জনআস্থা বেড়েছে। ফাঁদ মামলাও হয়েছে অনেক। ফাঁদ মামলার কারণে সরকারি কর্মকর্তাদের ঘুষের প্রবণতা কমেছে।’

রবিবার (৮ ডিসেম্বর ) সেগুনবাগিচায় দুদক রিপোর্টার্স অ্যাগেইনস্ট করপোরেশন (র‍্যাক) আয়োজিত ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘অর্থপাচারের ঘটনা ঠেকাতে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান মামলা না করলে, তাদের বিরুদ্ধে  ব্যবস্থা নেবে দুদক। মানি লন্ডারিং মামলায় সাজাও শতভাগ।’

তিনি বলেন, ‘দুর্নীতি প্রতিরোধে কাজ করে যাচ্ছি। গণশুনানির সংখ্যা বেড়েছে। মামলায় সাজার হারও বেড়েছে। কর্মকর্তাদের সক্ষমতা বাড়াতে কাজ করছি। সাক্ষীদের সুরক্ষা নিশ্চিতেও কাজ করা হচ্ছে।’

দায়মুক্তির বিষয়ে তিনি বলেন, কোনও মানুষ যেন হয়রানি না হয়, সেদিকে লক্ষ রাখা হচ্ছে।

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘সবক্ষেত্রে মামলার চার্জশিট দেওয়া যায় না। দুর্নীতির টাকা কোথায় গেল, সেটা বের না করা গেলে চার্জশিট দেওয়া সম্ভব না।’

তিনি বলেন, শিশুদের নৈতিকতা বাড়াতে ২৭ হাজার সততা সংঘ ও ৪ হাজার সততা স্টোর প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। মানসিক পরিবর্তন না হলে দুর্নীতি প্রতিরোধ সম্ভব না। সবার সমন্বিত প্রয়াস ছাড়া দুর্নীতি প্রতিরোধ সম্ভব না।