রবিবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দারুস সালাম থানার উপ-পরিদর্শক নজরুল ইসলাম আসামিকে আদালতে হাজির করেন। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য মাদক মামলায় তার পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন তিনি। মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত জলিল মাতব্বরকে কারাগারে আটক রাখারও আবেদন করেন তিনি। শুনানি শেষে জলিল মাতব্বরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক বাকী বিল্লাহ। আদালতের সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) মকবুল হোসেন এসব তথ্য জানান।
১৯ ফেব্রুয়ারি দারুসসালাম থানা এলাকা থেকে জলিল মাতব্বরকে আটক করা হয়। তিনি নারায়ণগঞ্জের জেলা গোয়েন্দা শাখায় (ডিবি) কর্মরত ছিলেন। সম্প্রতি তাকে গোপালগঞ্জে বদলি করা হয়। মামলা সূত্রে জানা যায়, এস আই আবদুল জলিল মাতব্বর তার বিভিন্ন জিনিসপত্র কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে গোপালগঞ্জে পাঠিয়েছিলেন। পার্সেলটি দারুসসালামে কুরিয়ার সার্ভিসের অফিসে থাকার সময় তা থেকে মাদকের গন্ধ ছড়াতে থাকে। ভেতরে নিষিদ্ধ কিছু থাকতে পারে সন্দেহ হওয়ায় কুরিয়ার কর্তৃপক্ষ বিষয়টি পুলিশকে জানায়। পরে দারুসসালাম থানার পুলিশ গিয়ে পার্সেল খুলে ইয়াবা, ২৭ রাউন্ড গুলি, দুটি ম্যাগাজিন ও একটি পিস্তল উদ্ধার করে।