৩২ বছর ধরে ঝুলে থাকা মামলা ২ মাসে নিষ্পত্তির নির্দেশ

হাইকোর্ট

যশোরে দুর্নীতির অভিযোগে দায়ের হওয়া এক মামলার কার্যক্রম ৩২ বছর ধরে ঝুলে থাকার পর তা আগামী ২ মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। পুনরায় সাক্ষীর জেরার সুযোগ চাওয়া আবেদনের ওপর জারি করা রুল খারিজ করে রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. আসিফ হাসান। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান।

মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, সরকারের খাস খতিয়ানভুক্ত সম্পত্তিকে ধানি জমি দেখিয়ে আসামিরা বিভিন্ন জনের নামে জাল রেকর্ড তৈরি করেন। পরে ওই জাল রেকর্ড দেখিয়ে তারা জমির ক্ষতিপূরণ হিসাবে সরকারের কাছ থেকে ১৩ লাখ ৬১ হাজার ৮২২ টাকা উত্তোলন করে। অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরো কর্মকর্তা মো. আলী আকবর ১৯৮৮ সালের ১৪ নভেম্বর ৬ জনকে আসামি করে যশোর কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন।

এ মামলার অন্যতম আসামি জীবননগর ডিগ্রি কলেজের সিনিয়র সহকারী প্রফেসর ও বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মো. নিজাম উদ্দিন সরদার সাক্ষীকে জেরা করতে না পারার কারণ দেখিয়ে ২০০১ সালের ৩০ জানুয়ারি যশোরের বিশেষ জজ আদালতে আবেদন দাখিল করে। সেই আবেদন না মঞ্জুর হলে নিজাম উদ্দিন ২০০১ সালের ১৮ জুলাই হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করে। হাইকোর্ট রিভিশন শুনানি শেষে ২০০১ সালের ১২ নভেম্বর মামলাটির কার্যক্রম ৩ মাসের জন্য স্থগিত করেন এবং রুল জারি করেন। দীর্ঘ ১৯ বছর পর ওই রুলের ওপর শুনানি হয়। শুনানি শেষে হাইকোর্ট রুল খারিজ করে দেন এবং দুই মাসের মধ্যে বিচারিক আদালতকে মামলার রায় দিতে নির্দেশ দেন।