ডিএনএ পরীক্ষায় হত্যা মামলার আসামি শনাক্ত

সিআইডি পুলিশছোরায় লেগে থাকা রক্তের নমুনার ডিএনএ টেস্ট করে হত্যা মামলার আসামিকে শনাক্ত করেছে সিআইডি। শেরপুরের নকলা থানার হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটনের ঘটনা এটি।

মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারুক হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছোরা থেকে রক্তের নমুনা পরীক্ষার মাধ্যমে আসামি শনাক্ত করেছে সিআইডির ডিএনএ ল্যাবরেটরি ইউনিট। শেরপুরের নকলা থানা এলাকায় ১২ ফেব্রুয়ারি আব্দুল বারেক নামে এক ব্যক্তি খুন হন। তার খুনিদের শনাক্তে সেখান থেকে উদ্ধার ছোরার রক্তের নমুনার ডিএনএ টেস্ট করে আসামি শনাক্ত করা হয়েছে।

সিআইডি জানায়, ১১ ফেব্রুয়ারি নকলা থানাধীন রুনীগাঁও গ্রামের সোহেল মিয়ার পালিত ছাগল আহসানুল কবীর নামে এক ব্যক্তির জমিতে ঢুকে ধানের বীজতলা নষ্ট করে। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তারা ঝগড়া-বিবাদে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় তাদের প্রতিবেশী আব্দুল বারেক বিবাদ মীমাংসার চেষ্টা করেন। বারেক তাদের ঝগড়া বিবাদ মীমাংসার চেষ্টা করায় আহসানুল কবীর ও তার পরিবারের সঙ্গে মনোমালিন্য হয়। পরদিন ১২ ফেব্রুয়ারি বারেক ক্ষেতে কাজ করতে যাচ্ছিলেন। এ সময় আহসানুল কবীর ও তার পরিবারের সদস্যরা পথরোধ করে ধারালো ছোরা দিয়ে তাকে আঘাত করে। পরে বারেকের চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে নেওয়ার পর চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

পরবর্তী সময়ে বারেকের পুত্র মো. শামীম বাদী হয়ে আসামি আহসানুল কবীর এবং তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে নকলা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আহসানুল কবীরের কাছ থেকে রক্তমাখা ধারালো কাঠের বাঁটযুক্ত একটি ছোরা জব্দ করে আলামত হিসেবে রক্তের নমুনা ডিএনএ পরীক্ষার জন্য পাঠায়।

অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডির ডিএনএ ল্যাবে রক্তমাখা ছোরা পরীক্ষা করা হয়। ডিএনএ পরীক্ষার ফলাফলে দেখা যায়, ছোরায় লেগে থাকা রক্ত এবং মৃত বারেকের শরীর থেকে সংগৃহীত রক্তের ডিএনএ প্রোফাইল সম্পূর্ণ এক। ডিএনএ পরীক্ষার ফলাফলে প্রমাণিত হয় আসামি আহসানুল কবীরের কাছ থেকে জব্দ করা ছোরা দিয়ে বারেককে খুন করা হয়।

আদালতে সাক্ষ্য হিসেবে এই ডিএনএ প্রতিবেদন সহায়তা করবে বলেও জানানো হয়েছে।