সকালে নগরীর বাসাবো এলাকায় অফিসগামী যাত্রীদের যথেষ্ট ভিড় দেখা গেছে। বাস আসতে না আসতেই নির্ধারিত ৫০ শতাংশ আসন ভর্তি হয়ে পড়ে। তবে বাসে যাত্রী ওঠানোর সময় হ্যান্ড স্যানিটাইজার বা শরীরের তাপমাত্রা মাপার কোনও চিত্র চোখে পড়েনি। হেলপারদের মুখেও ছিল না মাস্ক। যাত্রীদের চাপ বেশি থাকায় দাঁড়িয়ে যাত্রী পরিবহন করতে দেখা গেছে।
কথা হয় বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা আকরাম হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘সকাল বেলা যাত্রীর তুলনায় যানবাহন কম থাকে। তাই অনেকে হেঁটেই অফিসে চলে যান। মাঝে মাঝে বাসে করে অফিসে যাই। ভাড়া আগের চেয়ে ডাবল নেওয়া হচ্ছে।’ এ সময় মাস্ক মুখে দেখা যায়নি। মাস্ক মুখ থেকে সরিয়ে দাড়ির ওপরে রেখেছেন। সে বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আসলে অনেকক্ষণ রাখতে রাখতে হাঁপিয়ে ওঠার কারণে কিছু সময় এভাবে রেখেছি।’
বোরহান মিয়া নামে এক রিকশা চালক বলেন, ‘মাস্ক পরে রিকশা চলাতে কষ্ট হয়। শ্বাস নেওয়া যায় না। হাঁপিয়ে উঠি। ঘামে ভিজে যায়। আমাদের প্রতিদিন দুই তিনটা মাস্ক কিনে পরা কঠিন। সরকার চাইলে শ্রমজীবী মানুষের জন্য এই জিনিসটি ফ্রি দিতে পারে।’
সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বাংলা মটর এলাকায় চলাচলরত পরিবহনগুলোতে ৫০ শতাংশ আসন ফাঁকা রয়েছে। তবে পরিবহনে ওঠানো ও নামানোর সময় স্বাস্থ্যবিধি পালন করতে দেখা যায়নি। বেশ কয়েকটি পরিবহনের হেলপারদের মুখে মাস্ক দেখা যায়নি। তবে আগের তুলনায় দ্বিগুণ ভাড়া আদায়ের অভিযোগ করেছেন অধিকাংশ যাত্রী।
সকালে খিলগাঁও রেলগেটে গিয়ে দেখা গেছে, ছোট ছোট লেগুনা করে যাত্রী পরিবহন চলছে। প্রতিটি লেগুনায় দুই পাশের দুইটি সারিতে চার জন করে আট জন যাত্রী বসানো হচ্ছে। সামনে চালকের পাশের একটি সিটে বসছে দুই জন যাত্রী। এছাড়া পেছনে হেলপারের দাঁড়ানোর জায়গায় আরও একজন যাত্রী ঝুলিয়ে পরিবহন করা হচ্ছে। তবে যাত্রীদের কারও কারও মুখে মাস্ক দেখা যায়নি।
কথা হয় লেগুনাচালক রাকিবের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘মানুষ সচেতন না হলে আমরা কী করবো? প্রতিদিন কয়েকশ’ বার বলি আপনারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেন। কিন্তু কেউ চলে না। মানুষ মনে করে করোনা নেই। চলে গেছে। মানুষের দিকে তাকালে করোনা আছে বলে মনে হয়?’