ডাকের ডিজি সুধাংশু ও পরিদর্শক রাবেয়ার বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা

ডাক অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) সুধাংশু শেখর ভদ্র ডাক অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) সুধাংশু শেখর ভদ্র ও পোস্টাল পরিদর্শক রাবেয়া খাতুনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গত ২৯ নভেম্বর দুদকের উপপরিচালক মো. সালাহউদ্দিন স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পুলিশের বিশেষ শাখার প্রধানের কাছে পাঠানো হয়েছে। দুদক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

পুলিশের বিশেষ শাখার অতিরিক্ত আইজিপির কাছে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘ডাক অধিদফতরের ডিজি সুধাংশু শেখর ভদ্রসহ অন্যদের বিরুদ্ধে ডাক বিভাগের বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ সম্পূর্ণ বাস্তবায়ন না করে পরস্পরের যোগসাজশে শতকোটি টাকা আত্মসাৎ এবং অবৈধ সম্পদ অর্জন সংক্রান্ত একটি অভিযোগ কমিশনে অনুসন্ধানাধীন রয়েছে। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায় যে, অভিযোগ সংশিষ্ট সুধাংশ শেখর ভদ্র ও রাবেয়া খাতুন দেশত্যাগ করে অন্য দেশে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। অনুসন্ধান কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার স্বার্থে তাদের বিদেশগমন রহিতকরণ প্রয়োজন।’

দুদকের পাঠানো ওই চিঠিতে সুধাংশুর ঠিকানা হিসেবে গোপালগঞ্জের বিলতলা এলাকার পদ্মবিল উল্লেখ করা হয়েছে। তার বাবার নাম মৃত অধর চন্দ্র ভদ্র। তার বর্তমান ঠিকানা রাজধানীর ২৭ নং বেইলী রোড। এছাড়া চিঠিতে তার পাসপোর্ট নম্বর, জাতীয় পরিচয়পত্র ও মোবাইল নম্বর উল্লেখ রয়েছে।

একইভাবে রাবেয়া খাতুনের স্থায়ী ঠিকানা হিসেবে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীর আনন্দীপুর উল্লেখ রয়েছে। তার পিতার নাম আবু তাহের। বর্তমান ঠিকানা ৫ নং বেইলী রোড। চিঠিতে স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানার পাশাপাশি পাসপোর্ট নাম্বার, জাতীয় পরিচয়পত্র ও জন্ম তারিখ উল্লেখ করা হয়েছে।

দুদক সূত্র জানায়, ডাক অধিদফতরের ডিজি সুধাংশু শেখর ভদ্রের বিরুদ্ধে ভবন নির্মাণ, পোস্ট ই-সেন্টার ফর রুরাল কমিউনিটি প্রকল্পের কেনাকাটা, পয়েন্ট অব সেল (পওস) মেশিন কেনায় অনিয়ম, উদ্যোক্তাদের সাড়ে আট হাজার ল্যাপটপসহ অন্যান্য সরঞ্জাম সরবরাহ না করে বিল তুলে নেওয়াসহ শত কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১ সেপ্টেম্বর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন অভিযোগ অনুসন্ধান কর্মকর্তা ও দুদকের উপপরিচালক মো. সালাউদ্দিন। এছাড়াও অধিদফতরের ভবন নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক ও অধিদফতরের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (এডিজি) এইচএম গিয়াসউদ্দিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১০ নভেম্বর তাকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠায় ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়।