ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে আন্দোলন

পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগের মামলায় ৭ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ

লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর প্রতিবাদ এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে আন্দোলনের সময় পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে দায়ের করা মামলা ৭ জনকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দিয়েছেন আদালত। শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোর্শেদ আল মামুন ভূঁইয়া শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

এ মামলার আসামিরা হলেন—তামজীদ হায়দার, নজিব আমিন চৌধুরী জয়, এ এস এম তানজিমুর রহমান, আকিব আহম্মেদ, আরাফাত সাদ, নাজিফা জান্নাত ও জয়তী চক্রবর্তী।

শনিবার শাহবাগ থানার মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাদের সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করে আদালতে হাজির করেন। এ সময় আসামিপক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। অপরদিকে, রাষ্ট্রপক্ষ রিমান্ডের দাবি জানান। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক রিমান্ড নামঞ্জুর করে জেলগেটে একদিনের জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেন।

শাহবাগ মোড়ে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মশাল-মিছিল করার সময় শনিবার সন্ধ্যায় পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে ওই সাত জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে রাতে রাজধানীর শাহবাগ থানায় পুলিশ বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করে।

মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা বেআইনিভাবে পরস্পর যোগসাজশে পূর্বপরিকল্পিতভাবে লাঠিসোঁটা, ইটপাটকেলসহ পুলিশের কাজে বাধা প্রদান করতে এবং হত্যার উদ্দেশে আক্রমণ করে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। মিছিলকারীরা মশাল দিয়ে পুলিশের ওপর হামলা করে।

প্রসঙ্গত, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের রমনা মডেল থানায় ২০২০ সালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা একটি মামলায় কারাগারে ছিলেন লেখক মুশতাক আহমেদ। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় কারাগারের ভেতরে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। তাকে কারা হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসকরা রাত ৮টা ২০ মিনিটে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

মুশতাক আহমেদ নারায়ণগঞ্জের আড়াই হাজার থানার ছোট বালাপুর এলাকার মো. আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। তিনি ২০২০ সালের ৬ মে ঢাকা জেলে এবং পরে ২৪ আগস্ট থেকে কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী ছিলেন।