কোটালিপাড়ায় শেখ হাসিনাকে বোমা পুঁতে হত্যাচেষ্টা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ  

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে টুঙ্গিপাড়ার কোটালিপাড়ায় হেলিকপ্টার অবতরণের স্থানে বোমা পুঁতে রাখার মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য আগামী ৪ মার্চ দিন ধার্য করেছেন আদালত।

রবিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানের আদালত মামলার পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন।

এদিন আসামি পক্ষের আইনজীবীরা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সাবেক এএসপি আব্দুল কাহার আকন্দকে জেরা করেন। তার জেরার মধ্য দিয়ে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ করেছেন রাষ্ট্রপক্ষ।

এ মামলার আসামিদের মধ্যে মো. আজিজুল হক ওরফে শাহনেওয়াজ, মো. লোকমান, মো. ইউসুফ ওরফে মোছহাব মোড়ল, মোছহাব হাসান ওরফে রাশু ও শেখ মো. এনামুল হক পলাতক রয়েছে। আসামি মাওলানা আমিরুল ইসলাম ওরফে জেন্নাত মুন্সী ও  মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান জামিনে রয়েছে। বাকি আসামি — মো. মফিজুর রহমান অরফে মফিজ, মো. মাহমুদ আজহার ওরফে মামুনুর রশিদ, মো. রাশেদুজ্জামান ওরফে শিমুল, মো. তারেক, মো. ওয়াদুদ শেখ ওরফে গাজী খান, মো. আনিসুল ইসলাম ও সারোয়ার হোসেন মিয়া কারাগারে রয়েছে।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০০০ সালের ২১ জুলাই গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়ায় শেখ লুৎফর রহমান আদর্শ কলেজের মাঠে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশস্থলের পাশ থেকে ৭৬ কেজি ওজনের একটি বোমা উদ্ধার করা হয়। বোমা উদ্ধার হওয়ার পরদিন ওই স্থানেই শেখ হাসিনার বক্তব্য দেওয়ার কথা ছিল। এ ঘটনার পর কোটালিপাড়া থানার উপ-পরিদর্শক নূর হোসেন বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা দায়ের করেন।

২০০১ সালের ১৫ নভেম্বর সিআইডির তৎকালীন  এএসপি আব্দুল কাহার মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০০৪ সালের ২১ নভেম্বর আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচারের জন্য আদেশ দেন। এরপর বিচার চলাকালীন বিভিন্ন সময়ে আদালত মোট ৫০ জন সাক্ষীর মধ্যে ৩৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।