গুলশানে তরুণীর লাশ উদ্ধার, বসুন্ধরার এমডির বিরুদ্ধে মামলা

রাজধানীর গুলশানে বিলাসবহুল একটা ফ্ল্যাট থেকে এক তরুণীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই তরুণীর নাম মোসারাত জাহান মুনিয়া (২১)। ময়নাতদন্তের জন্য পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। পুলিশের গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার সুদীপ চক্রবর্তী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ ঘটনায় বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি সায়েম সোবহানকে আসামি করা হয়েছে। ওই বাসার সিসিটিভি জব্দ করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, গুলশান দুই নম্বর এভিনিউয়ের ১২০ নম্বর সড়কের ১৯ নম্বর প্লটের বি/৩ ফ্ল্যাটে একাই থাকতেন মুনিয়া। চলতি বছরের মার্চ মাসে এক লাখ টাকা মাসিক ভাড়ায় তিনি ওই ফ্ল্যাটে ওঠেন। সোমবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ওই বাসা থেকে মুনিয়ার সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় লাশ উদ্ধার করা হয়।

জানা গেছে, মুনিয়া মিরপুরের ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুলের উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থী ছিল। তার বাবার নাম মৃত শফিকুর রহমান। গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা সদরের দক্ষিণপাড়া উজির দিঘি এলাকায়।

পুলিশের গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বলেন, মেয়েটি কেন আত্মহত্যা করেছে এবং এর পেছনে কারও ইন্ধন রয়েছে কিনা তা আমরা খতিয়ে দেখছি। ওই বাসা থেকে কিছু আলামত উদ্ধার করা হয়েছে। ওই বাসায় কার যাতায়াত ছিল তা জানার চেষ্টা চলছে।

এ ঘটনায় আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে একটি মামলা ( নং ২৭) হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তা সুদীপ কুমার চক্রবর্তী। তিনি জানান, মামলায় বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি সায়েম সোবহানকে আসামি করা হয়েছে। ওই বাসার সিসিটিভি জব্দ করা হয়েছে।