ভার্চুয়াল আদালতে আরও ২ হাজার ৪১৮ হাজতির জামিন

করোনা সংক্রমণ রোধকল্পে দ্বিতীয় দফার লকডাউনে সারাদেশে অধস্তন আদালতসমূহে ৪ হাজার ৫২২টি আবেদনের ভার্চুয়াল শুনানি ও নিষ্পত্তি করে ২ হাজার ৪১৮ জন আসামিকে জামিন দেওয়া হয়েছে। এর ফলে সর্বমোট ২১ কার্যদিবসে ৭৩ হাজার ৩৬৫টি মামলায় ভার্চুয়াল শুনানির মাধ্যমে মোট ৩৯ হাজার ৪১৮ জন হাজতি জামিন পেয়ে কারামুক্ত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১৩ মে) সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার মুহাম্মদ সাইফুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।

জানা গেছে, ‘করোনা সংক্রমণ রোধকল্পে দ্বিতীয় দফায় সারাদেশে অধস্তন আদালত এবং ট্রাইব্যুনালে শারীরিক উপস্থিতি ব্যতিরেকে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে জামিন এবং অতীব জরুরি ফৌজদারি দরখাস্তের ওপর শুনানি হয়েছে। গতকাল (১২ মে) সারাদেশের অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনালে ভার্চুয়াল শুনানিতে ৪ হাজার ৫২২টি জামিন-দরখাস্ত নিষ্পত্তি করা হয়েছে এবং ২ হাজার ৪১৮ জন হাজতি অভিযুক্ত আসামিকে জামিন দেওয়া হয়েছে।’

এর আগে দ্বিতীয় দফায় ভার্চুয়াল আদালতের প্রথম দিনে সারাদেশে অধস্তন আদালতসমূহে এক হাজার ৬০৪ জন, দ্বিতীয় দিনে ৩ হাজার ২৪০ জন, তৃতীয় দিনে ২ হাজার ৩৬০ জন, চতুর্থ দিনে এক হাজার ৮৪২ জন, পঞ্চম দিনে এক হাজার ৬৩৫ জন, ষষ্ঠ দিনে এক হাজার ৫৭৬ জন, সপ্তম দিনে এক হাজার ৩৪৯ জন, অষ্টম দিনে এক হাজার ৫৯২ জন, নবম দিনে এক হাজার ৮৩৯ জন, দশম দিনে এক হাজার ৫৯৩ জন, ১১তম দিনে এক হাজার ৩৯৫ জন, ১২তম দিনে এক হাজার ৪২২ জন, ১৩তম দিনে এক হাজার ৪১২ জন, ১৪তম দিনে এক হাজার ৭২১ জন, ১৫তম দিনে এক হাজার ৭১৪ জন, ১৬তম দিনে এক হাজার ৫৩৬ জন, ১৭তম দিনে এক হাজার ৪৪৭ জন, ১৮তম দিনে এক হাজার ৯১৭ জন, ১৯তম দিনে ২ হাজার ৬৪২ জন এবং ২০তম দিনে ৩ হাজার ১৫০ জন আসামিকে জামিন দেওয়া হয়।

আর সবমিলিয়ে ২১ কার্যদিবসে ৭৩ হাজার ৩৬৫টি মামলায় ভার্চুয়াল শুনানির মাধ্যমে ৩৯ হাজার ৪১৮ জন হাজতি কারামুক্ত হয়েছেন। পাশাপাশি এ সময়ে জামিন পওয়া শিশুর সংখ্যা ৫২৯ জন।

এর আগে ভার্চুয়াল আদালত শুরু হওয়ার পর প্রথম দফায় ২০২০ সালের ১১ মে থেকে ৪ আগস্ট পর্যন্ত মোট ৫৮ কার্যদিবসে সারাদেশে অধস্তন আদালত এবং ট্রাইব্যুনালে ভার্চুয়াল শুনানিতে মোট এক লাখ ৪৭ হাজার ৩৩৯টি ফৌজদারি মামলায় জামিন-দরখাস্ত নিষ্পত্তি হয় এবং ৭২ হাজার ২২৯ জন অভিযুক্ত ব্যক্তির (শিশুসহ) জামিন মঞ্জুর করা হয়।

প্রসঙ্গত, গত ১১ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে। সেখানে বলা হয়েছে, প্রাদুর্ভূত মহামারি (কোভিড-১৯) এর ব্যাপক বিস্তার রোধকল্পে ১২ এপ্রিল থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে জামিন ও অতীব জরুরি ফৌজদারি দরখাস্তসমূহ নিষ্পত্তি করার উদ্দেশ্যে আদালত ও ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।’

এছাড়াও সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় প্রত্যেক চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এক বা একাধিক ম্যাজিস্ট্রেট যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক শারীরিক উপস্থিতিতে দায়িত্বপালন করবেন বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।