ভারতে তরুণীকে নির্যাতন: ৫ বাংলাদেশির ছিল না পাসপোর্ট-ভিসা

ভারতের তরুণীকে যৌন নির্যাতনের ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া পাঁচ জন বাংলাদেশির সবাই অবৈধভাবে সেখানে গিয়েছিল। তাদের কারোর পাসপোর্ট কিংবা ভিসা ছিল না বলে জানিয়েছেন তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. শহিদুল্লাহ। শনিবার (২৯ মে) বিকালে শ্যামলীতে তেজগাঁও উপ-পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ভারতে তরুণী নির্যাতনের ঘটনায় গ্রেফতার ব্যক্তিরা অবৈধভাবে সেখানে গিয়েছিল। তাদের কাছে ভিসা-পাসপোর্ট নেই। স্কুল কলেজের মেয়েদের বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে চক্রটি পাচার করতো।

মো. শহিদুল্লাহ বলেন, যৌন নির্যাতনের ঘটনায় ভারত এবং বাংলাদেশে পৃথকভাবে মামলা হয়েছে। রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় তাদের বিরুদ্ধে মানব পাচার ও পর্নোগ্রাফি আইনে একটি মামলা হয়েছে।

বিদেশে পাঠানোর কথা বলে ভারতের যৌনপল্লিতে টিকটক হৃদয়ের নারী বিক্রি

তিনি আরও বলেন, গ্রেফতার যুবকরা আন্তর্জাতিক মানব পাচারকারী চক্রের সদস্য। বিশেষ করে টিকটকের মাধ্যমে উঠতি বয়সী স্কুল-কলেজ পড়ুয়া মেয়েদের টার্গেট করা হতো। পরে তাদের ভারতসহ বিভিন্ন জায়গায় পাচার করতো। এ চক্রের আরও কয়েকজনের সন্ধান পাওয়া গেছে। এই চক্র অনেককে পাচার করেছে, এ সংখ্যা কম নয়। যৌন নির্যাতনের ঘটনায় ভারত এবং বাংলাদেশের পৃথকভাবে মামলা হয়েছে। ভারত ভারতের মতো করে মামলার তদন্ত করবে এবং আমরা আমাদের মতো করে তদন্ত করবো। তবে অপরাধীরা যেহেতু বাংলাদেশি, তাই দুই দেশের মধ্যে আন্তঃসমন্বয়ের মাধ্যমে তাদের দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে।

ভারতে নির্যাতনের শিকার তরুণীকে ফেরত চায় পরিবার

মো. শহিদুল্লাহ বলেন, পুলিশ সন্ধান পেয়েছে, টিকটক ভিডিওর জন্য তাদের একত্রিত করে এক পর্যায়ে পাচারের কাজ করা হয়। এ চক্রের মূল আস্তানা ব্যাঙ্গালুরুর আনন্দপুর এলাকায়। পাচারের উদ্দেশ্য হচ্ছে পতিতাবৃত্তি। বিভিন্ন হোটেলের সঙ্গে চক্রটির চুক্তি রয়েছে। বিভিন্ন হোটেলে তারা মেয়েদের সরবরাহ করে এবং আর্থিক সুবিধা পায়। চক্রের সদস্যরা তরুণীদের নেশাজাতীয় দ্রব্যাদি খাইয়ে মোবাইলফোনে ভিডিও করে, পতিতাবৃত্তি করাতে বাধ্য করতো বলে জানান তিনি।