স্ত্রী-মেয়েকে শ্বাসরোধে হত্যা: বাবার বিরুদ্ধে আরেক মেয়ের জবানবন্দি

রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরের বাড়িতে স্ত্রী ও মেয়েকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় বাবা মোহন্দ্র চন্দ্র দাসের বিরুদ্ধে আদালতে সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দিয়েছে তার বড় মেয়ে ঝুমা রাণী দাস।

রবিবার (২৫ জুলাই) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিনুর রহমানের আদালত তার জবানবন্দি গ্রহণ করেন। আদালতের সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন (জিআর) শাখা এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কামরাঙ্গীরচর থানার এসআই জহিরুল ইসলাম ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ঝুমা রাণীকে আদালতে হাজির করে সাক্ষী হিসেবে তার জবানবন্দি রেকর্ড করার জন্য আবেদন করেন। তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে  আদালত ঝুমার জবানবন্দি গ্রহণ করেন। মামলার একমাত্র আসামি তার বাবা মোহন্দ্র চন্দ্র দাস অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে আদালতকে অবহিত করেন তদন্ত কর্মকর্তা।

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার গভীর রাতে কামরাঙ্গীরচরের নয়াগাঁও এলাকার একটি বাসায় ঘুমের মধ্যে স্ত্রী ফুলবাসী ও তার মেয়ে সুমী রানী দাসের মুখে কীটনাশক ঢেলে শ্বাসরোধে হত্যা করেন মোহন্দ্র চন্দ্র দাস। ঘটনার সময় ফুলবাসীর আরেক মেয়ে ঝুমা রানী দাস (১৪) ঘুমাচ্ছিল।  হঠাৎ ঘুম ভেঙে যাওয়ার পর সে দেখতে পায়, তার বাবা  সুমীর মুখে পলিথিন চেপে ধরে হত্যা করার চেষ্টা করছেন। পরে শনিবার সকালে ওই বাসা থেকে ফুলবাসী ও তার মেয়ে সুমীর লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় শনিবার গভীর রাতে মামলা দায়ের করেন ফুলবাসী রানী দাসের বোন বিশাখাবাসী রানী দাস।