চাঁদাবাজির মামলায় বহিষ্কৃত সেই ছাত্রলীগ নেতা রিমান্ড শেষে কারাগারে

চাঁদাবাজির এবং মারধরের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের উপ-দফতর সম্পাদক (বহিষ্কৃত) আকতারুল করিম রুবেলেকে এক দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু সাঈদের আদালত এ আদেশ দেন। আদালতের সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন (জিআর) শাখা থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। 

এ দিন শাহবাগ থানার মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ রইচ হোসেন আসামি আকতারুলকে রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করেন। এরপর তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাঁকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এর আগে মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আশেক ইমামের আদালত তার এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

উল্লেখ্য, ভুক্তভোগী মনির হোসেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের ওয়ার্ড বয় হিসেবে কর্মরত। গত সোমবার (২৬ জুলাই) সকাল ৯টার দিকে মনির ও তার সহকর্মী মো. সোহেল ও হারুন নাস্তা করতে হাসপাতাল থেকে হোটেলে যাচ্ছিলেন। এ সময় আসামি আকতারুলসহ অজ্ঞাতনামা আরও দুই-তিন জন ভুক্তভোগীর পথরোধ করে তার কাছে পাঁচ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে আসামিরা বাদীকে হত্যার উদ্দেশ্যে কাঠের লাঠি ও রড দিয়ে আঘাত করে। তখন তাকে তার সহকর্মীরা বাঁচাতে এগিয়ে এলে তাদেরও আসামিসহ অন্যরা কাঠ ও রড দিয়ে পিটিয়ে জখম করে। একপর্যায়ে তাদের চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে আসামি আকতারুলকে আটক করলেও তার সঙ্গে থাকা অন্য আসামিরা পালিয়ে যায়।

এ ঘটনায় কর্মচারী মনির হোসেন বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় চাঁদাবাজি ও মারধরের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন।

এদিকে এ ঘটনার পর শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে আসামি আকতারুল করিম রুবেলকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।