শিশু হত্যা মামলায় আল আমিনের যাবজ্জীবন

২০১০ সালে কুমিল্লার দেবীদ্বারে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র পারভেজকে (১২) অপহরণের পর হত্যা মামলায় মো. আল আমিনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ কমিয়ে যাবজ্জীবন দিয়েছেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও দুই বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তাকে কনডেম সেল থেকে সাধারণ সেলে নিতে কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।

হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিলের ওপর শুনানি শেষে রবিবার (৮ আগস্ট) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন ভার্চুয়াল আপিল বেঞ্চ এ রায় দেন।

আদালতে আসামির পক্ষে শুনানিতে ছিলেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী শিরিন আফরোজ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ।

২০১০ সালের ৫ নভেম্বর জুমার নামাজের পর বাড়ি থেকে বের হয় কামারচর ইঞ্জিনিয়ার আবু ইউসুফ খান প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র পারভেজ। এরপর তাকে খুঁজে না পেয়ে তার মা জোৎস্না বেগম থানায় জিডি করেন। পরে পারভেজের আত্মীয় আল আমিন (২১ বছর) থানায় এসে হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে।

আল আমিন তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বলে, এক শ’ টাকার প্রলোভন দেখিয়ে পারভেজকে দীঘির পাড়ে নিয়ে গলা টিপে হত্যা করে। এরপর লাশ ছয় টুকরা করে পাশের একটি ধানক্ষেতে ফেলে দেয়। পরে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ চেয়ে পারভেজের বাড়িতে দুটি চিঠিও দেয়।

নিহতের মা জোৎস্না বেগম বাদী হয়ে মামলা করেন। ২০১২ সালে ৩১ জানুয়ারি মামলার বিচার শেষে কুমিল্লার আদালত আল আমিনকে মৃত্যুদণ্ড দেন। মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য যাবতীয় নথি হাইকোর্টে পাঠানো হয়। একইসঙ্গে হাইকোর্টে আপিল করে আসামি। শুনানি শেষে ২০১৭ সালের ২৯ জানুয়ারি হাইকোর্ট বিভাগ আপিল খারিজ করে আসামির মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রাখেন।

হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল আবেদন করেন আল আমিন। শুনানি শেষে আল আমিনের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন দেন আপিল বিভাগ।