জামিন নিতে আসা জঙ্গি সংগঠনের সদস্যকে হাজতে পাঠালেন হাইকোর্ট

অর্থপাচার মামলায় আগাম জামিন নিতে আসার পর ইউপিডিএফ ও জেএসএস নামের জঙ্গি সংগঠনের সদস্য শংকদাস বড়ুয়াকে সরাসরি হাজতে পাঠিয়েছেন হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ হোসেন ও তাপস কুমার বিশ্বাস। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আন্না খানম কলি ও মো সাইফুর রহমান সিদ্দিকী সাইফ।

আদালতে শংকদাস বড়ুয়ার আগাম জামিন শুনানির সময় কোর্ট ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলকে বলেন, জামিন আবেদনের বিষয়ে রাঙামাটি পুলিশ সুপারের কাছে খবর নিন। সেই পর্যন্ত শংকদাস কোর্ট কাস্টডিতে থাকবে।

এরপর ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল পুলিশ সুপারের সঙ্গে কথা বলে তার সম্পর্কে হাইকোর্টকে তথ্য দেন। জানা গেছে, শংকদাসের বিরুদ্ধে জঙ্গি সম্পৃক্ততার অভিযোগ আছে। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইন ও মাদক আইনেও মামলা আছে।

তখন কোর্ট পুলিশ সুপারকে জুম আইডির মাধ্যমে পুলিশ সুপারকে কোর্টে সংযুক্ত হওয়ার নির্দেশ দেন। রাঙামাটির পুলিশ সুপার মীর মোদাছছের হোসেন জুম আইডির মাধ্যমে হাইকোর্টে সংযুক্ত হন।

পরে হাইকোর্ট পুলিশ সুপারের মাধ্যমে বিস্তারিত শোনেন। পুলিশ সুপার হাইকোর্টকে জানান, এরা গভীর জঙ্গলে থেকে অপরাধ কর্ম চালায় বলে গ্রেফতার করা সম্ভব হয় না। তখন আসামির আগাম জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে সরাসরি হাজতে নেওয়ার জন্য শাহবাগ থানাকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

এজাহার মতে শংকদাস বড়ুয়া টিম্বার অ্যান্ড সাপ্লায়ার ব্যবসার আড়ালে মূলত ইউপিডিএফ ও জেএসএস নামক জঙ্গি সংগঠনের সদস্য হয়ে চাঁদাবাজি করে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন। অভিযুক্ত ও তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে উত্তরা ব্যাংক লিমিটেড, ইসলামি ব্যাংক লিমিটেড, জনতা ব্যাংক লিমিটেড ও গ্রামীণ ব্যাংক লিমিটেডের বিভিন্ন শাখায় মোট ৯টি ব্যাংক হিসাবে তথ্য পাওয়া যায়। যেগুলোতে সে সর্বমোট ১৪ কোটি ৩৭ লাখ টাকারও  বেশি উত্তোলন করে।

অনুসন্ধানে প্রতীয়মান হয় যে, অভিযুক্তরা অপরাধের মাধ্যমে আনুমানিক ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা পাচার করে। পরে অর্গানাইজড ক্রাইম সিআইডির এসআই মো. মেহেদী হাসান বাদী হয়ে রাঙামাটি সদর থানায় ১৯ অক্টোবর মামলাটি দায়ের করেন।