পল্লীবিদ্যুতের পড়ে থাকা তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট শিশুকে ৫ লাখ টাকা দেওয়ার নির্দেশ

লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে ‘পল্লীবিদ্যুতের অবহেলায়’ পড়ে থাকা তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গুরুতর আহত তামিম ইকবাল (১২) নামে এক স্কুলছাত্রের  চিকিৎসার জন্য তাৎক্ষণিক ৫ লাখ টাকা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তাকে ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। 

জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সচিব, পল্লী বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান, লক্ষ্মীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ম্যানেজারসহ পাঁচ বিবাদীকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে সোমবার (৬ ডিসেম্বর) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।

এর আগে গত ২৫ সেপ্টেম্বর দুপুরে তামিম বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গুরুতর আহত হয়। এরপর থেকে সে ঢাকার শেখ হাসিনা ন্যাশনাল বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের শিশু সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

তামিম রামগতি উপজেলার চর আলগী ইউনিয়নের চর টবগী গ্রামের দিনমজুর শাহাদাত হোসেনের ছেলে। সে স্থানীয় কাটাবনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র।

স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা গেছে, মেঘনা নদীর ভাঙনের কবলে পড়ে গত ২৩ সেপ্টেম্বর চর টবগী গ্রামের একটি বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়ে। এরপর থেকে ওই খুঁটির বিদ্যুতের তারগুলো এলোমেলোভাবে নদীর পাড়ে থাকে। এ বিষয়ে স্থানীয়রা রামগতির পল্লী বিদ্যুৎকে অবগত করলেও তারা ঘটনাস্থলে আসেনি। দুই দিন পর ২৫ সেপ্টেম্বর স্কুলছাত্র তামিম নদীতে গোসল করতে গেলে পড়ে থাকা বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে মারাত্মক আহত হয়। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে প্রথমে রামগতি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। ওই দিন রাতেই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকার শেখ হাসিনা ন্যাশনাল বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়।

পরে ওই ঘটনায় ক্ষতিপূরণ চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন শিশুর বাবা শাহাদাত হোসেন।