ডা. মুরাদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার জবানবন্দি গ্রহণ, আদেশ পরে

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পরিবারের এক নারী সদস্য সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ ও অশ্লীল বক্তব্য প্রদানের অভিযোগে সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানসহ দুজনের  বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার করা হয়েছে। অপর আসামি হলেন মুহাম্মদ মহিউদ্দিন হেলাল নাহিদ।

সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে বাদী হয়ে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নেতা অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক ফারুকী মামলাটি দায়ের  করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ কর নথি পর্যালোচনায় আদেশ পরে দেবেন বলে জানান।

বাদীপক্ষের জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নেতা মাসুদ আহমেদ তালুকদার বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘জাইমা রহমান ও নারী সমাজকে নিয়ে ডা. মুরাদ আজেবাজে মন্তব্য করেছেন। তাই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ২৫, ২৯ ও ৩১ ধারায় সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছি। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ কর নথি পর্যালোচনায় আদেশ পরে  দিবেন বলে জানিয়েছেন।’

এর আগে গত ১২ ডিসেম্বর সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালে মামলাটির আবেদন জমা দেন। ওই দিন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ছুটিতে থাকায় মামলাটি আজ শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

সম্প্রতি এক ফেসবুক পেজের লাইভে এসে খালেদা জিয়ার নাতনিকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ ও অশ্লীল মন্তব্য করেন ডা. মুরাদ হাসান। এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মধ্যেই চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির সঙ্গে দুই বছর আগের একটি ফোনালাপ ফাঁস হয়। এতে ওই চিত্রনায়িকাকে ধর্ষণের হুমকি দিতেও শোনা যায় মুরাদ হাসানকে। বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা সৃষ্টি হয়। পরে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে পদত্যাগ করেন তিনি। জামালপুরের এই সংসদ সদস্যকে আওয়ামী লীগের স্থানীয় কমিটি থেকেও অব্যাহতি দেওয়া হয়।

তুমুল আলোচনার মধ্যেই গত বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) কানাডার উদ্দেশে দেশত্যাগ করেন ডা. মুরাদ। তবে সেখানকার ইমিগ্রেশন তাকে দেশটিতে ঢুকতে দেয়নি। এরপর রবিবার (১২ ডিসেম্বর) দেশে ফিরে আসেন তিনি।