মৈত্রী ট্রেন থেকে ১ কোটি ২৫ লাখ টাকার পোশাক জব্দ

চোরাচালানে আসা ভারতীয় শাড়ি, ফাইল ছবিরাজধানীর ক্যান্টেনমেন্ট রেল স্টেশনে অভিযান চালিয়ে প্রায় ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা মূল্যের ৩৭ লাগেজ ভর্তি ভারতীয় পোশাক জব্দ করেছে ঢাকা কাস্টম হাউজ। অভিযান পরিচালনার সময় ক্যান্টেনমেন্ট রেল স্টেশনের স্টেশন মাস্টার মোজাম্মেল হোসেন অসহযোগিতা করেছেন বলে  অভিযোগ করেছেন শুল্ক কর্মকর্তারা।
শুল্ক কর্মকর্তারা জানান, ভারত থেকে মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেন সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে  ক্যান্টেনমেন্ট রেলস্টেশনে আসে। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনার জন্য স্টেশনে অবস্থান নেয় শুল্ক কর্মকর্তারা। ট্রেনটি স্টেশনে পৌঁছলে যাত্রীদের বের হওয়ার জন্য স্টেশনের গেট দেরিতে খুলতে স্টেশন মাস্টারকে অনুরোধ করেন শুল্ক কর্মকর্তারা। কিন্তু স্টেশন মাস্টার সেই অনুরোধ না রেখে চোরাকারবারিদের পালিয়ে যেতে সহায়তা করেন বলে অভিযোগ করেছেন শুল্ক কর্মকর্তারা।
অভিযান প্রসঙ্গে ঢাকা কাস্টম হাউজের সহকারী কমিশনার শহিদুজ্জামান সরকার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, গোপন তথ্য থাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয় ক্যান্টেনমন্টে রেলস্টেশনে। স্টেশন মাস্টার মোজাম্মেল হোসেন অভিযানের সময় শুল্ক কর্মকর্তাদের সহায়তা করেননি বরং চোরাকারবারিদের পালিয়ে যেতে সহায়তা করেছেন।

শহিদুজ্জামান সরকার বলেন, চোরাকারবারিদের চিহ্নিত করতে স্টেশনের সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ চাইলেও স্টেশন মাস্টার সহায়তা করেননি। স্টেশন মাস্টার আমাদের জানান, তিনি রেলওয়ের এডিজি হাবিবুর রহমানের নির্দেশ মতো দায়িত্ব পালন করছেন। টেলিফোনে হাবিবুর রহমানের সঙ্গে কথা বললে তিনিও শুল্ক কর্মকর্তাদের সঙ্গে অসদাচরণ করেন এবং তিনি চ্যালেঞ্জ করেন শুল্ক কর্মকর্তাদের রেল স্টেশনে অভিযান পরিচালনার এখতিয়ার নেই।

শহিদুজ্জামান সরকার বলেন, শুল্ক ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে আনা ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা মূল্যের ৩৭ লাগেজ ভারতীয় পোশাক জব্দ করা হয়েছে। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে কথা বলতে একাধিকবার টেলিফোনে যোগাযোগ করেও স্টেশন মাস্টার মোজাম্মেল হোসেনকে পাওয়া যায়নি।

/সিএ/এমএনএইচ/