শীতকে সাধারণত বলা হয় রাতের রাজা যখন রাতের বেলা চারিদিক ঘন অন্ধকারে ছেয়ে যায় এবং ঠাণ্ডার একটা আলাদা চাদরে ঢাকা পড়ে পুরো শহর। আর এই সময়ই আমরা বাইরের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে গরম কাপড়ে নিজেকে ঢেকে আপনজন দের সাথে কিছু সময় কাটাতে পারলে সেটা হয় সব থেকে সুখকর। কিন্তু এই মুহুর্তগুলো আরও বেশি উপভোগ্য হয় যখন কিনা আপনার ঘরটি শীতের জন্যে নতুনভাবে নতুনসাজে সাজানো থাকে। কারন এই সাজানো ঘরই শীতের আমেজকে প্রতিফলিত করে শীতকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে।
ঘর সাজানোর সময় প্রথমেই রঙয়ের ব্যাপারটা জানা বেশি জরুরি। শীতের একটি অন্যতম উপকরণই হলো তুষার যা সাধারণত আমাদের দেশে কখনই পড়ে না তবে সূর্যের আলোর প্রভাবও কম থাকে। আর জন্যেই সাদা তুষার রঙ কে প্রাধান্য দেওয়া যেতে পারে। অন্যান্য উজ্জ্বল রঙকেও বেছে নেওয়া যেতে পারে যেমন ধুসর, হালকা বাদামী, হালকা গোলাপী ধরনের রঙ। এরপর আসুন ঘরের আসবাবপত্রগুলোকে সঠিক নিয়মে সাজানো যাক। কারণ সঠিক নিয়মে সাজানো আসবাবপত্র আপনার রুচিবোধের প্রতিফলন ঘটাবে। বেডরুম সাজানোর ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে যেন বেডকে ব্যালকনির পাশে রাখা যায়। সকাল বেলার মৃদু শীতল বাতাস আপনাকে দিনের শুরুতেই এক দারুন সজীবতার অনুভূতি জোগাবে যা আপনাকে সারাদিন আরও কর্মঠ করে তুলবে। বেডের পিছনের দেয়ালকে হালকা টেক্সচার পেইন্ট দিতে পারেন। বেডশিট, বালিশ, কুশন, কম্বল গুলোর রঙ কাছাকাছি একই ধরনের হলে দৃষ্টিনন্দন হবে। বেডের সাথেই একটা কাঠের ছোট কফি টেবিল রাখতে পারেন। তাছাড়া বারান্দায় একটা ইজি চেয়ারে বসে শীতল বাতাস দারুন উপভোগ্য হতে পারে।
শীতের ভিতরে ফ্লোর সাজানোর অন্যতম প্রধান উপাদান হলো কার্পেট এবং ম্যাট। আমাদের দেশে এর প্রচুর ব্যবহার হয়ে থাকে। তবে এর রঙ, সাইজ ভেদে সঠিক ব্যবহার আপনার বাড়িকে আরও আকর্ষনীয় করে তুলবে নিঃসন্দেহে। কার্পেট শুধু ফ্লোরেই নই, দেয়ালে ব্যাবহারে দেয়ালকে একটি চোখ ধাঁধানো রূপ দিতে পারেন। খেয়াল রাখতে হবে যেন কার্পেট বা ম্যাট এর তৈরি উপাদান ভাল হয়। কারন তুলনামূলক খারাপ উপাদান দিয়ে তৈরি ম্যাট শ্বাসকষ্টের কারণ হতে পারে। এই জন্যে ব্যবহার করা যেতে পারে কাশমিরি ম্যাট যা আমাদের দেশের মার্কেটে পর্যাপ্ত পরিমাণে পাওয়া যায়। এই ক্ষেত্রে এলিফ্যান্ট রোড কার্পেট মার্কেট গিয়ে ঘুরে আসতে পারেন।
চেয়ার অথবা সোফায় আর্টিফিসিয়াল পশম দিয়ে তৈরি ছোটবড় কুশন ব্যবহার করা যেতে। এটি যথেষ্ট উষ্ণতর, আরামদায়ক এবং সুলভ মূল্যেই পাওয়া যায়। তাছাড়া ফ্ল্যানেলের তৈরি হালকা ওজনের ছোট কম্বলও ব্যবহার করা যেতে পারে যেকোন যায়গায়। এই ক্ষেত্রে বিত্তবানদের প্রথম পছন্দ সাধারনত ভেলভেট হয়ে থাকে।
ঘরের বিভিন্ন যায়গায় নানারকমের মোমবাতির ব্যবহার ঘরকে হালকা আলোকময় করে রাখবে। নানাধরনের মোমবাতির পাওয়া যেতে পারে আড়ং এর আউটলেট গুলোতে। বাংলাদেশে যেহেতু ফায়ারপ্লেসের ব্যবহার নেই সেহেতু রুম হিটার ব্যবহার করে দেখতে পারেন অধিক স্বাচ্ছন্দের জন্যে।
/এফএএন/