ভর্তা খেতে জাহাঙ্গীরনগর!

‘এই যে মামা এই দিকে, ভর্তা আছে, ডিম ভাজি আছে...’- দুপুর হতে না হতেই এমন হাঁকডাকে সরব হয়ে ওঠে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা। হরেক রকম ভর্তা সাজিয়ে বসেন দোকানিরা। কী নেই সেই ভর্তা উৎসবে! বাদাম ভর্তা, ইলিশ মাছ ভর্তা, রুই মাছ ভর্তা, মরিচ ভর্তা, চিকেন ভর্তা, কালো জিরা ভর্তা, শুঁটকি ভর্তা, আলু ভর্তা, পেঁপে ভর্তা, ডাল ভর্তা, সরিষা ভর্তা, ধনে পাতা ভর্তা, শিম ভর্তা, লইটা শুঁটকিসহ আরও অনেক ধরনের ভর্তা খেতে পারবেন একদম টাটকা।

হরেক রকম ভর্তা
বেলা বাড়ার সাথে সাথে বাড়তে থাকে ক্যাম্পাসের ছাত্র-ছাত্রীর ভিড়। দূরদূরান্ত থেকেও অনেকে ছুটে আসেন ভর্তার স্বাদ চেখে দেখতে। ভর্তার পাশাপাশি পাওয়া যায় বিরিয়ানি, তেহারি, খিচুড়ি, খাসির মাংস ও মগজ, গরুর  মাংস, হাঁসের মাংস, মুরগির মাংস, রুই মাছ, ইলিশ মাছ, বোয়াল মাছ, পুঁটি মাছ, চাপিলা মাছ, শিং মাছ, বেলে মাছ, কাতলা মাছ, পাঙ্গাস মাছ, কালি বাউস মাছ, গজার মাছ ও তেলাপিয়া মাছ।
বটতলাতে প্রায় ২৫টিরও বেশি খাবারের দোকান রয়েছে। জানতে চেয়েছিলাম, কত রকমের খাবার তৈরি হয়। সুজন হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টের মালিক সুজনের কাছে জানান, ছুটির দিনে অন্যান্য দিনের তুলনায় সবচেয়ে বেশি খাবার  রান্না করা হয়। প্রায় ৪০ ধরনের আইটেম থাকে ছুটির দিন! আর সাধারণ দিনে প্রায় ৩০ রকমের খাবার তৈরি হয়।

ভর্তার পাশাপাশি মিলবে অন্যান্য খাবারও
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী অদিতি ফেরদৌস এসেছিলেন জাহাঙ্গীরনগরের বটতলার ঐতিহ্যবাহী ভর্তা খেতে। তিনি জানান, অনেক প্রশংসা শুনেই তাই বন্ধুরা সবাই মিলে এসেছেন এখানে। সাভার থেকে আসা এক বেসরকারি ব্যাংক কর্মকর্তা জানান, সপ্তাহে বেশ কয়েকবার এখানে এসে ভর্তা কিনে নিয়ে  যান তিনি। ক্যাম্পাসের আবাসিক ছাত্র ছাত্রীরা হলের ক্যান্টিনের পাশাপাশি প্রায়ই খাবার খেতে আসেন এ বটতলায়। ‘আমরা প্রায় তিনবেলাই এখানে খেতে আসি’- বলছিলেন নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আশিক।
গভীর রাত পর্যন্ত জমজমাট থাকে জাহাঙ্গীরনগরের বটতলা। সময় করে একদিন আপনিও ঢুঁ মেরে আসতে পারেন ভর্তার রাজ্য থেকে!