এই গরমে ঠাণ্ডার খোঁজে

তীব্র গরমে জনজীবন অতিষ্ঠ। গরমের তৃষ্ণা মেটাতে ঢাকা শহরের অলিগলিতে গড়ে উঠেছে ভ্রাম্যমাণ জুস ও কফির দোকান। শহরের বিভিন্ন ব্যস্ত পয়েন্ট থেকে শুরু করে ছোট এলাকার গলিতেও জুসের রমরমা ব্যবসা। গুলিস্তান, মতিঝিল, কাকরাইল, রামপুরা, মালিবাগ, মগবাজার, বেইলি রোড, শাহবাগ, পল্টন, প্রেসক্লাব, ধানমণ্ডি, মোহাম্মদপুর, লালবাগ, আজিমপুর, উত্তরা কোনও এলাকা বাদ নেই যেখানে জুস অথবা কোল্ড কফির দোকান চোখে পড়ে না।

বানানো যেমন সহজ, তেমনি কম সময় এবং অল্প পুঁজিতেই চালানো যায় এই ব্যবসা। প্যাকেটজাত তরল দুধকে বরফ বানিয়ে তার মধ্যে কফি আর চকলেট পাউডার দিয়ে ব্লেন্ডারে দিলেই নিমিষেই হয়ে যায় কোল্ড কফি। দামও খুব একটা বেশি না, মাত্র ৩৫-৪০ টাকা। আবার অনেক জায়গায় এই স্বাদের মধ্যে আছে ভিন্নতা। কেউ কেউ ক্যারামেল সিরাপ, চকলেট সিরাপ অথবা স্ট্রবেরি কিংবা ভ্যানিলা ফ্লেভার মিশিয়েও বিক্রি করছে নানা জাতের কোল্ড কফি। দাম সর্বোচ্চ ৬০ টাকা।

কোল্ড কফির পাশপাশি পাওয়া যাচ্ছে লেবুর শরবত। এই তীব্র গরমে এক গ্লাস ঠাণ্ডা লেবুর শরবত আপনাকে একদম ফ্রেশ করে দিতে যথেষ্ট। এলাকা ভেদে এক গ্লাস লেবু পানি ১০-১৫ টাকা। কেউ কেউ আবার এর সাথে যোগ করে পুদিনা পাতার ফ্লেভার।

ব্যস্ত সড়ক ছাড়াও গলির ভেতরে গড়ে উঠেছে জুসের দোকান। এমনই একটি হলো লালবাগের শাহী জুস কর্নার। লালবাগ শাহী মসজিদের উল্টো পাশে যেখানে দেখবেন ভিড়, সেটাই জুসের দোকান। এখানে আছে অসংখ্য পদের জুস। আম, পেঁপে, পেয়ারা, আঙ্গুর, বেদানা, আপেল, জাম্বুরা, আনারস, তরমুজ, জলপাইসহ অসংখ্য ফলের জুস। এছাড়াও রয়েছে জিরা পানি ও হরেক পদের মিল্ক শেক। দাম ২০ টাকা থেকে ৫০ টাকার মধ্যে।

এই গরমে ঠাণ্ডার খোঁজে

মোহাম্মদপুর টাউনহল বাজারের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় নজর কাড়ে হরেক রকম ফল সাজানো জুসের দোকান, নাম সিঙ্গাপুর জুস এন্ড কফি বার। মৌসুমি ফল থেকে শুরু করে প্রায় হরেক রকম ফলের জুসের সমাহার এখানে। জুসের পাশাপাশি আছে লাচ্ছি এবং মিল্ক শেকের ব্যবস্থা।

পুরান ঢাকার শরবতের স্বাদ নিতে চাইলে রয়েছে নূরানি কোল্ড ড্রিংকস আর বিউটি লাচ্ছি এন্ড ফালুদা। পুরান ঢাকার চকবাজারে প্রায় ৪০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বিক্রি হচ্ছে নূরানির বিখ্যাত লেবুর শরবত আর স্পেশাল লাচ্ছি। অন্যদিকে পুরান ঢাকার কাজী আলাউদ্দিন রোডে অবস্থিত বিউটি লাচ্ছি এন্ড ফালুদা। লেবুর শরবতের জন্য বিখ্যাত এই জায়গা। এছাড়া এদের ফালুদাও বেশ জনপ্রিয়।

সাবধানতা

পথের ধারের জুস বা শরবত পান করার আগে সেটা বিশুদ্ধ পানি দিয়ে তৈরি কিনা যাচাই করে নিন। কারণ অস্বাস্থ্যকর পানীয় পানে রোগবালাই ছড়ায় দ্রুত।