মধু শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এক সময় অলিম্পিকে অংশ নেওয়া খেলোয়াড়েরা মধু খেয়ে শক্তি বাড়াতো। মধু খুব দ্রুত শরীরে শক্তির ঘাটতি দূর করে।
সর্দি এবং গলার সংক্রমণ কমায়। সর্দি, কাশিসহ গলার যেকোনও ধরনের সংক্রমণ কমাতে মধু দারুণ কাজ করে। প্রসঙ্গত, ১১০ জন শিশুর ওপর পরীক্ষা করে দেখা গেছে যে, এক ফোঁটা মধুর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ডেক্সট্রোমেথরফ্যান থাকে, যা কাশি সর্দির সমস্যা কমিয়ে আরাম প্রদান করে এবং নিশ্চিন্তে ঘুমোতে সাহায্য করে।
আয়ুর্বেদিক অষুধ মধু। প্রায় চার হাজার বছর ধরে ভারতবর্ষে আয়ুর্বেদিক ওষুধ হিসাবে মধুর ব্যবহার হয়ে আসছে। মধুর নিয়মত ব্যবহারে দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটে। সেই সঙ্গে ওজন কমে, সন্তান ধারণে অক্ষমতা দূর করতে সাহায্য করে, মূত্রনালির সংক্রমণ দূর হয় এবং শ্বাসকষ্ট কমে। এছাড়াও ডাইরিয়া এবং বমি বমি ভাব দূর করতেও মধু দারুণ উপকারি ভূমিকা নেয়। প্রসঙ্গত, যে কোনও ভেষজ ওষুধের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে এর কার্যকারিতা আরও বৃদ্ধি পায়।
ক্ষতস্থান সারায়। শরীরের কোনও জায়গায় কেটে গেলে বা পুড়ে গেলে মধুর ব্যবহারে খুবই উপকার পাওয়া যায়। ক্ষতস্থানে মধু এবং চিনি মিশিয়ে লাগালে জীবাণুনাশক হিসাবে তো বটেই, সেই সঙ্গে ক্ষতস্থান তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যেতেও সাহায্য করে মধু।
ত্বকের যত্নে কাজ আসে। সারাদিন ধুলো বালিতে আমাদের ত্বকের দারুণ ক্ষতি হয়। যে কারণে ত্বকে নানা ধরণের সমস্যা সৃষ্টি হয়। এক্ষেত্রে যদি মধুকে কাজে লাগানো যায়, তাহলে দারুন উপকার পাওয়া যায়। কেমন ভাবে মুখে লাগাবেন মধু? নানা ধরণের ফেসপ্যাকের সঙ্গে মধু ব্যবহার করতে পারেন। এমনটা করলে দারুন উপকার মেলে।