চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী স্বাদ: কোয়াবের মাংস

কোয়াব চট্টগ্রামের মাংসের একটি পদ। এটা বেশ পুরু কড়কড়া ভাজা মাংস। গ্রামগুলোতে যখন আধুনিকতার ছোঁয়া লাগেনি আর ফ্রিজের প্রচলন যখন ছিল না তখন মাংসকে কোয়াব বানিয়ে সংরক্ষণ করা হতো বেশ কিছুদিনের জন্য।

এটা প্রায় বিলুপ্ত খাবার। তবে এখনও চট্টগ্রামের অনেক বাড়িতে এটা না হলেই হয় না।

কোয়াব রান্নার জন্য:

গরুর মাংস ৩ কেজি (হাড় ছাড়া মাংস এবং বেশ পুরু করে কাটতে হবে)

লাল মরিচের গুঁড়া- ১ টেবিল চামচ

জিরা ও ধনে গুঁড়া- ২ চাচামচ

গরম মসলা গুঁড়া- ১ চা চামচ

আদাবাটা- ২ টেবিল চামচ

রসুনবাটা- ২ চা চামচ

মেজবানির মসলা- ২ চা চামচ22834603_10155743602049318_2015402235_n

মেজবানির মসলা তৈরি পড়ুন এই লিংকে-  মেজবানি মাংসের মসলা 

তেল- ৩ টেবল চামচ/ গরুর মাংস থেকে উঠিয়ে রাখা চর্বি(দুতিন টুকরা)

(চর্বির বদলে তেল দেওয়া ভালো, কারণ এখন আমরা ফ্রিজে সংরক্ষণ করতে পারি)

লবণ- স্বাদমতো

কোয়াব ভাজার জন্য:

দারুচিনি- ২ টুকরা

 তেজপাতা- ২/৩টি

 লবঙ্গ, এলাচ- তিন/চারটে

তেল/ গলানো চর্বি- পরিমাণ মতো

পদ্ধতি: মাংস পুরু করে কেটে টুকরা করে নিয়ে ধুয়ে নিন। এখন কোয়াব রান্নার সব উপকরণ দিয়ে মাংসের টুকরাগুলো মাখিয়ে মাঝারি আঁচে চুলায় বসান। মাংস থেকে যে পানি বের হবে, তাতে কিছুক্ষণ রান্না হতে দিন।

পানি একদম শুকিয়ে আসলে দুই কাপ পানি দিয়ে ঢেকে দিন। মাঝে মাঝে নেড়ে দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে। চুলায় আঁচ কমিয়ে রেখে দিন। কিছুক্ষণ পর পর মাংস নেড়ে উল্টে পাল্টে দিন।

এভাবে একদিন রান্না করে রাখুন। এরপর থেকে পর পর দু'দিন চুলায় জ্বাল দিতে হবে।ব্যাস হয়ে গেল কোয়াব। খাওয়ার আগে অল্প তেলে ভেজে নিতে হবে।

অন্য একটা মোটা কড়াইতে তেল গরম করে রান্না করা মাংস মসলা থেকে উঠিয়ে তেলে ভাজুন। একদম কম আঁচে চুলায় বসিয়ে রাখুন ঢাকনা ছাড়াই এবং মাঝে মাঝে নেড়ে দিন। খেয়াল রাখবেন ভালো মতো যেন ভাজা ভাজা হয়।

কালো ভুনা ভুনা হয়ে গেলে নামিয়ে একদম ঠাণ্ডা করে বাক্সে ভরে রাখুন। প্রয়োজনে বের করে কুচি কুচি করে কেটে, পেঁয়াজ মরিচ দিয়ে ভেজে নিন।

টমেটোর টক, ডাল ও গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন। আবার ভর্তাও বানাতে পারেন।