সপ্তাহভর ব্যস্ততায় সময় পাওয়া ভার চাকরিজীবী নবেরা রহমানের। বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এসিআই ফার্মায় কাজ করছেন তিনি। তাই একদিন ছুটি মানেই সময়টা পরিবারের সঙ্গে উদযাপন করা। বৈশাখে বিকেলের দিকেই বের হবেন ঘুরতে। আর এ সময় পরনে থাকবে সাদা এবং হালকা গোলাপি রঙের কোটা শাড়ি। পছন্দের তালিকায় কোটা শাড়িই তার পছন্দ, কেননা এতে বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন তিনি।
পিছিয়ে নেই কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও। কথা হয় অগ্রণী কলেজের ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী মালিহা হায়দারের সঙ্গে। ক্যাজুয়াল পোশাকই তার পছন্দ। কিন্তু বৈশাখে শখ করেই শাড়ি পড়ছেন এবার। তবে আবহাওয়া এবং স্বস্তির কথা মাথায় রেখে ফুলেল প্রিন্টের জর্জেট শাড়িই তার পছন্দ। আর শাড়িটি উপহার পেয়েছেন মায়ের কাছ থেকে।
জাতীয় ইন্সটিটিউট অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪র্থ বর্ষের আরেক শিক্ষার্থী তানজিনা নওশীন। বৈশাখ ছাড়াও যেকোনো উৎসবে তার পছন্দ তাঁত এবং জর্জেটের শাড়ি। এবার অবশ্য তাঁতের সাদা-লাল শাড়িটি পড়বেন। আঁচলের দিকে সামান্য কমলা রঙের প্রিন্ট। এছাড়াও পুরো শাড়ি জুড়েই রয়েছে বিভিন্ন প্রিন্ট। শাড়িটি তিনি নিয়েছেন ঢাকার হকার্স মার্কেট থেকে।
অনেকেই আছেন বৈশাখটা নিজের মত করেই উদযাপন করতে পছন্দ করেন। যেমন, রায়হানা সুলতানা। কাজ করছেন একটি আন্তর্জাতিক সংস্থায়। বৈশাখে খুব একটা বের হন না। পরিবারের সঙ্গেই কাটিয়ে দেন পুরো দিনটি। আর পরদিন অফিসের আয়োজনে পরে যাবেন গামছা কাপড়ের শাড়ি। রায়হানা জানান, অনেকদিন ধরেই এ ধরনের একটি শাড়ি কেনার শখ ছিল। অবশেষে এ বছর কিনেই ফেললেন।
কথা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক তাহমিনা হক দিনার সঙ্গে। তাঁতের জমিনের উপর হালকা কাজ করা কিংবা তসর সিল্কের শাড়ি তার বেশ পছন্দ। তাই এবারও এ ধরনের শাড়িই পড়বেন তিনি। আর শাড়ি কেনার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কিছু ব্র্যান্ডের শাড়িই তার পছন্দ। আবার পছন্দমত অনলাইন পেজ থেকেও কিনে ফেলেন। আর এবারে বৈশাখ উদযাপন করছেন এবার খাগড়াছড়িতে।
পছন্দের তালিকায় সুতির শাড়িরই যেন কদর বেশি। অভিনেত্রী তানভিন সুইটিও এবার লাল পাড়ের সাদা শাড়িই পড়ছেন। হালকা সাঁজে তিনি ব্যস্ত থাকবেন বিভিন্ন আয়োজন এবং দাওয়াতে।