চাঁদরাতে জমজমাট মেহেদি উৎসব

মেহেদি উৎসবরাত পেরিয়ে ভোর হলেই ঈদ। সকাল হলেই সবাইকেই দেখা যাবে ঈদের নতুন সাজে। কিন্তু মেয়েদের বেলায় সাজের মাত্রাটা একদম ভিন্ন। এমন  দিনে যেটি ছাড়া মেয়েদের হাত একদম খালি লাগে, সেটি হচ্ছে মেহেদি। আর এই হাতে মেহেদি দেওয়াকে কেন্দ্র করে রাজাধানীর বিভিন্ন শপিং মলে কেনাকাটার পাশাপাশি জমে উঠেছে মেহেদি উৎসব। শুধু শপিংমল গুলোই নয় এর পাশাপাশি রাজধানীর বিউটি পার্লারগুলোতেও মেয়েদের ভিড় লেগে গেছে হাতে মেহেদি দেওয়ার জন্য।

ধানমন্ডির জেনেটিক প্লাজা ঘুরে দেখা যায়, সেখানে মেহেদি উৎসবের কাজ করছে প্রিয়াংকা মেহেদি ডিজাইন। প্রিয়াংকা মেহেদি ডিজাইনের প্রতিষ্ঠাতা তানহা প্রিয়াংকা জানান, ২৫ রমজান থেকে আমরা এই মেহেদি উৎসবের কাজ করছি। অনেক আগ্রহ নিয়েই মেয়েরা আসছে আমাদের কাছে। সারাদিন খুব একটা চাপ না থাকলেও সন্ধ্যার পর থেকে অনেকটা সিরিয়াল দিয়ে মানুষ বসে থাকে। আজ চাঁদরাত হওয়া মানুষের সংখ্যা আরও বাড়বে আশা করছি। আজ আমরা রাত ২টা থেকে ৩ টা পর্যন্ত থাকবো। একই সঙ্গে আমরা মোহাম্মদপুরের টোকিও স্কয়ার ও গুলশানের পুলিশ প্লাজাতে আছি।

অন্যদিকে ধানমন্ডির কেবি স্কায়ারের বিন্দিয়া এক্লুসিভ বিউটি কেয়ারের কর্ণধার শারমিন কচি জানান, দু’দিন আগে থেকে আমার এখানে মেহেদি হাতে দেওয়ার জন্য মেয়েরা আসছে। তবে আজ সকাল থেকে ভিড়ের পরিমাণটা বেশি। চেষ্টা করছি সবাইকে সন্তুষ্ট করার।

mehediরেড বিউটি স্যালনের প্রধান নির্বাহী আফরোজা পারভীন জানান, অনেক আগ্রহ নিয়েই মানুষ হাতে মেহেদি দিতে আসছে। ২৭ রোজার পর থেকেই মূলত অন্যান্য পরিচর্যার পাশাপাশি হাতে মেহেদি দেওয়া শুরু হয়েছে। তবে, আজ হাতে মেহেদি দেওয়ার চাহিদা অনেকটা বেশি। ঈদ উপলক্ষে রেড বিউটি স্যালন গহনা ডিজাইনের মেহেদির প্রচলন করেছে।

শুধু বিভিন্ন শপিং মল বা পার্লারে পার্লারে নয়, ঢাকায় অবস্থানরত বিভিন্ন পথ শিশুদের হাতকে রাঙিয়ে দিয়েছে বেশ ‘সম্ভাবনা’, ‘মাস্তুল ফাউন্ডেশন’ ও ‘লাইটস অব হোপস’ সহ বেশ কয়েকটি সংগঠন।

সম্ভাবনার সাধারণ সম্পাদক মুশফিকা নিশাদ জানান,  প্রতিবারের মতো এবারও আমরা পথশিশুদের ঈদ উৎসবকে বাড়িয়ে দিতে আমরা তাদের হাতে মেহেদি দিয়ে দিয়েছি। পথশিশুরাও তো মানুষ। তাদেরও তো ভালো করে বাঁচার অধিকার আছে। সকলের সহযোগিতায় যতটুকু সম্ভব হয়েছে আমরা চেষ্টা করেছি তাদের সাজিয়ে দিতে।

ছবি: সাজ্জাদ হোসেন।