ঈদের পোলাও-কোরমা, কালিয়া, রোস্টের মাঝে হাসফাঁস করা মানুষদের একটু রিলিফ দেয় সালাদ। তাই ঈদের দিনের সালাদ পোলাউয়ের সঙ্গে চটকে খাওয়ার না হয়ে যদি আলাদা একটা ডিশ হয় তাহলে নিশ্চয় কারও আপত্তি থাকবে না। ঈদে ও অন্যান্য যে কোনওদিন তৈরি হোক মেডিটেরেনিয়ান সালাদ-
উপকরণ:
হারিসা ড্রেসিংএর জন্য-
১/২ কাপ অলিভ অয়েল
৫ টা কাশ্মীরি লংকা
৫-৬ কোয়া রসুন
১ টে চামচ তিল
১ চা চামচ আস্ত জিরা
১/২ চা চামচ মৌরি
৪-৫টা কাজুবাদাম
১ টি লেবুর রস
১ টে চামচ মধু
১ চা চামচ স্মোকড প্যাপরিকা
স্বাদমতন লবণ
সালাদের ঠাণ্ডা উপকরণ-
৩-৪ টা চেরি টোমাটো
৩-৪ টা বাটন মাশরুম
১ টা লেটুস
পছন্দসই সালাদপাতা (বাখরপাতা, ধনেপাতা, পার্সলিপাতা)
৩ পিস বাসী রুটি বা বাগেত
সামান্য থাইম
৩-৪ কোয়া রসুনকুচি
২ টি এপ্রিকট (পরিবর্তে কাঁচাপাকা আমও চলতে পারে)
৫-৬ টি আমন্ড বাদাম
সাজাবার জন্য খাওয়া যায় এমন মৌসুমী ফুলের পাপড়ি এবং পেস্তাবাদাম (ইচ্ছা)
সালাদের উপকরণ-
২ টুকরো যেকোনো কাঁটাছাড়া ফিশ ফিলে (ভেটকি, চাঁদা, তেলাপিয়া)
১ কাপ চিংড়ি সেদ্ধ
১ টে চামচ চালের গুঁড়ো
১ টে চামচ ময়দা
সামান্য ধনে আর জিরেগুঁড়ো
সামান্য হলুদ
প্রণালীঃ
১. হারিসা ড্রেসিংএর সব উপকরণ ব্লেন্ড করে বা বেটে মিশিয়ে নিন।
২. ফিশ ফিলের ছোট ছোট টুকরো করে তাতে সামান্য ধনে-জিরে-ময়দা-চালের গুঁড়ো- লবণ মিশিয়ে অলিভ অয়েলে ভেজে নিন। হলুদ দেবেন না।
৩. তেলে রসুনকুচি ভেজে তাতে মাশরুম ভেজে নিন।
৪. তেলে থাইম ফোড়ন দিন। সামান্য হলুদ মেখে বাসী রুটির ছেঁড়া টুকরোগুলো এবং আমন্ড বাদাম সেই তেলে ভেজে নিন।
৫. চিংড়ি বেশি সেদ্ধ করবেন না।
৬. এবার পছন্দসই পাত্রে লেটুসের বিছানায় সালাদ পাতা দিন, এতে সালাদের ঠাণ্ডা এবং গরম উপকরণগুলির সঙ্গে হারিসা ড্রেসিং একত্রে হালকা হাতে মিশিয়ে সেটা বিছিয়ে দিন।
৭. সালাদের উপরে পেস্তা এবং ফুলের পাপড়ি ছিটিয়ে দিন, কিছুটা অলিভ অয়েল ঢেলে দিন। সালাদ মেশানোর সঙ্গে সঙ্গে পরিবেশন করুন।