প্রতিদিন আদা খাবেন কেন?

রান্নায় স্বাদ বাড়ানোর পাশাপাশি পুষ্টিগুণে অনন্য আদা খেতে পারেন স্বাস্থ্যরক্ষায়ও। এতে রয়েছে ডায়াটারি ফাইবার, প্রোটিন, সোডিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম এবং ভিটামনি সি। সেই সঙ্গে রয়েছে বেশ কিছু উপাদান যেমন জিঞ্জোরেল, শোগাওল, জিঞ্জেরন এবং টার্পেনোডিস, যা সুস্থ থাকার জন্য দরকারি। জেনে নিন আদার গুণ সম্পর্কে।

আদা

  • নিয়মিত অল্প পরিমাণ আদা, পরিমাণ মতো লেবুর রসের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে একদিকে যেমন কিডনির কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, তেমনি শরীরে জিঙ্কের ঘাটতি দূর হতে শুরু করে। এই খনিজটি ইনসুলিনের কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।
  • বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত আদার সঙ্গে অল্প পরিমাণে মধু মিশিয়ে খেলে পাকস্থলীর কর্মক্ষমতা বাড়ে। সেই সঙ্গে পাচক রসের ক্ষরণ বেড়ে যায়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই বদ-হজম এবং অ্যাসিডিটির মতো সমস্যা কমতে শুরু করে।
  • আদায় থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং উপকারী ভিটামিন সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেমের কর্মক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। সেই সঙ্গে বয়সের সঙ্গে সঙ্গে যাতে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা কমে না যায়, সেদিকেও খেয়াল রাখে।
  • এক গ্লাস আদা মিশ্রিত পানি কিংবা গরম আদা চা নিমিষেই চাঙ্গা করে তুলতে পারে শরীর।

জেনে নিন

  • রূপ ও চুলচর্চায়ও আদার ভূমিকা অপরিসীম। এতে থাকা ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, ফসফরাস এবং আরও নানাবিধ উপকারী উপাদান হেয়ার ফলিকেলের ভেতর থেকে পুষ্টির ঘাটতি দূর করে। ফলে চুল মজবুত হয়।
  • গর্ভাবস্থায় বা কোনও ধরনের রোগ থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খাবেন আদা।

তথ্য: বোল্ডস্কাই