ঝকঝকে বাথরুমের জন্য বেকিং সোডা

বাথরুমে জমে থাকা জীবাণু যেমন আমাদের জন্য ক্ষতিকর, তেমনি এগুলো পরিষ্কার করার জন্য বিভিন্ন টক্সিক ক্লিনারেও থাকে মানব দেহের জন্য ক্ষতিকর বিভিন্ন কেমিক্যাল। তাই এগুলো দিয়ে বাথরুম পরিষ্কার করার সময় মাস্ক পরার পরামর্শ দেন অনেকে। বেকিং সোডার সাহায্যে খুব সহজেই পরিষ্কার করতে পারেন বাথরুম। জেনে নিন কীভাবে।  

IE_NaturalCleaner
যা প্রয়োজন
বেকিং সোডা আধা কাপ
লিকুইড ডিশ সোপ ১ টেবিল চামচ
হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড এক কাপের চার ভাগের এক ভাগ 
প্রক্রিয়া

  • একটি পাত্রে আধা কাপ বেকিং সোডা নিন।
  • তাতে ১ টেবিল চামচ  লিকুইড ডিশ সোপ ও এক কাপের চার ভাগের এক ভাগ  হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড মেশান।
  • ভালো করে এই দ্রবণটা মিশিয়ে এরপর একটি স্কুইজ টপ বোতলে (ছোট মুখওয়ালা বোতল) দ্রবণ রাখুন।
  • ঘরে তৈরি আপনার বাথরুম ক্লিনার প্রস্তুত এখন।

যেভাবে ব্যবহার করবেন
দ্রবণে থাকা বেকিং সোডা বাথরুমের ময়লা, জীবাণু ও টাইলসের কোণায় আটকে থাকা ময়লা দূর করবে। হাইড্রোজেন পার অক্সাইড প্রাকৃতিক পরিষ্কারক হিসেবে কাজ করবে ও টাইলস উজ্জ্বল করবে। স্কুইজ টপ বোতল  থেকে অল্প পরিমাণে দ্রবণ বাথরুমের টাইলস ও কমোডে ছিটিয়ে দিন। ৫-১০ মিনিট বাথরুম ব্যবহার না করে এভাবে রেখে দিন। এরপর ব্রাশ দিয়ে হালকা করে ঘষলে বাথরুমের টাইলস থেকে ময়লা সহজে উঠে আসবে। ময়লার দাগ যদি বেশি শক্তিশালী হয়, তবেভেজা স্পঞ্জ দিয়েও বাথরুমের টাইলস পরিষ্কার করতে পারেন। দাগ মোছার পর সেখানে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। বাথরুম খুব ভালোভাবে পরিষ্কার করতে চাইলে প্রক্রিয়াটি আবারও একইভাবে করতে পারেন।
যদি বাথরুমের টাইলস এভাবে সবসময় পরিষ্কার দেখতে চান, তাহলে একটি স্প্রে বোতলে ১ ভাগ পানি ও ১ ভাগ ভিনেগার মিশিয়ে সেই বোতলটিকে বাথরুমে রেখে দিন। বোতলটির গায়ে ‘ক্লিনার’শব্দটি লিখে রাখতে পারেন,যাতে অন্য কেউ বাথরুমে এসে ভুল করে তা নষ্ট না করে। গোসল সারার পর বাথরুমের টাইলসে স্প্রে করুন। প্রতিদিন এমন স্প্রে না করলেও চলবে। সপ্তাহে ২/৩ বার স্প্রে করলেই বাথরুমের টাইলস সবসময় পরিষ্কার ও দাগমুক্ত থাকবে।

তথ্যসূত্র: ইনস্টিকস