ঠাণ্ডাজনিত রোগ প্রতিরোধে 'ভিটামিন সি'

 

green-lemon-png-1সারাবিশ্ব করোনা ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত। বাংলাদেশেও রয়েছে এই ঝুঁকিতে, ইতোমধ্যে বেশ কিছু করোনা রোগী পাওয়া গেছে এবং একজনের মৃত্যু ঘটেছে। এটি জেনে রাখা ভালো, করোনা একটি ঠাণ্ডাজনিত রোগ।  যদি প্রাথমিক পর্যায়ে আমরা ঠাণ্ডাজনিত রোগগুলোকে দমন করতে পারি তবেই হয়তো আমরা আমাদের দেহে কঠোর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা জন্মাবে। প্রাথমিক পর্যায়ে ঠাণ্ডা প্রতিরোধে ভিটামিন ‘সি’ এর ভূমিকা বেশ গুরুত্বপূর্ণ।

ভিটামিন সি মানবদেহের অতি প্রয়োজনীয় একটি ভিটামিন, যা কিনা ঠাণ্ডাজনিত রোগ প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে। মানবদেহের নিউরোট্রান্সমিটারের ফাংশন ঠিক রাখার কাজে নিয়েজিত ভিটামিন সি। এই ভিটামিন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট তাই নানান ধরনের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।

সচরাচর আমরা ঠাণ্ডা লাগে বলে থাকি, এর জন্য ২০০ রকমের ভাইরাসকে দায়ী করা হয়। ভাইরাস সংক্রমণের কারণে এর সঙ্গে প্রচন্ড শারীরিক দুর্বলতা অনুভূতি হয়, শরীর ম্যাজম্যাজ করে, হাঁচি, কাশি সর্দি, মাথাব্যথা, গলাব্যথাসহ নানান রকমের লক্ষণ এবং উপসর্গ প্রকাশ পায়। বিশেষ করে বৃদ্ধ ও শিশুদের প্রচুর ভোগান্তি হয়।

এইসব প্রতিটি ক্ষেত্রেই ভিটামিন সি এর ব্যবহারে প্রতিটি রোগ সেরে উঠে। বিজ্ঞানীরা গবেষণায় দেখেছেন ভিটামিন-সি এর ব্যবহার নিয়ে, শিশুরা দৈনিক ১ থেকে ২ গ্রাম ভিটামিন সি খেলে সর্দি কাশি তীব্রতা কমে যায়।

লেবু, মধু আর গরম পানি ঠাণ্ডার ওষুধ হিসাবে ধরা হয়। শরীরের ইমিউন সিস্টেম বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ভিটামিন সি এর ভূমিকা অনস্বীকার্য। কাঁচামরিচ ও লালমরিচ ভিটামিন সি উৎসগুলোর মধ্যে অন্যতম।সর্দি জ্বর কাশিতে ও শরীর হাত ব্যথা নিরাময় ও হাড়ের সংযোগ স্বাভাবিক রাখে কাঁচামরিচ এবং লালমরিচ।

এছাড়া আমলকি, আনারস, স্ট্রবেরি, ব্রকলি,পেঁপে ,পেয়ারা, টমেটো ,কমলালেবু ইত্যাদি ভিটামিন সি এর অন্যতম উৎস।

আসুন প্রতিদিন ভিটামিন সি গ্রহণ করে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে পারি এবং জ্বর সর্দি কাশি থেকে রক্ষা পেতে পারি।

লেখক:  পুষ্টিবিদ।