অসময়ে তিস্তায় ভাঙ্গনে হুমকির মুখে ডিমলার বাঁধ

Dimla Pic 01অসময়ে উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি বেড়ে ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে নীলফামারী ডিমলা উপজেলার একটি বাঁধ। ডিমলা উপজেলার টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের চরখড়িবাড়ী গ্রামে (তিস্তার উজানে) সেচ্ছাশ্রমে তৈরি ২ হাজার মিটার বাঁধটি এখন হুমকির মুখে।

২০১৭ সালের শেষের দিকে বাঁধটি নির্মান করেন ওই এলাকার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত লোকজন। এ সময় গ্রামবাসি বাঁশ, কাঠ ও বালুর বস্তা, নগদ অর্থ দিয়ে সাহায্য করেন। সেচ্ছাশ্রমে দিনরাত পরিশ্রম করে বাঁধটি নির্মাণ করা হয়।

ওই ব্যক্তি উদ্যোগ ও এলজিএসপির সহায়তায় ৯০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয় বাঁধটি।

এলাকাবাসী জানায়, বাঁধটি নির্মানের ফলে উপজেলার ৯নং টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের চড় খড়িবাড়ী গ্রামে গত বছরের বন্যায় কয়েক হাজার পরিবার রক্ষা পেয়েছে। বাঁধটি নির্মিত হলেও অর্থাভাবে ও পাউবো’র পক্ষ হতে টেকসইয়ের জন্য প্রয়োজনীয় জিও টেক্রটাইল ব্যবহার ও সিসি ব্লক বসানো হয়নি। তৎকালীন পাউবো’র প্রধান প্রকৌশলী আতিক হোসেন বাঁধটি রক্ষার জন্য জিও টেক্রটাইল ও সিসি ব্লকের বরাদ্দ দিয়ে বাঁধটি রক্ষার আশ্বাস দিলেও তার বদলির ফলে সেটি কার্যকর হয়নি।

উপজেলার টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ময়নুল হক জানান, হঠাৎ করে মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) সকাল থেকে তিস্তায় উজানের পানি বেড়ে যাওয়ায় বাঁধ ভেঙ্গে নদী ফসলি জমিতে প্রবেশ করায় একের পর এক জমি নদী গর্ভে তলিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে ভূট্টার ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলিন হচ্ছে।

তিনি জানান, এই মুহূর্তে বাঁধ ভাঙ্গন রোধ করতে না পারলে আসন্ন বর্ষা মৌসুমে এই ইউনিয়নে প্রায় ২০ হাজার মানুষ বন্যার কবলে পরে ভিটেমাটি হারাবে। বাঁধ ভাঙ্গনের বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া শাখায় অবহিত করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে, ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিভাগীয় প্রকৌশলী হাফিজুল হক বলেন, বাঁধ ভাঙ্গনের বিষয়টি জেনেছি। বাঁধটি পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবোর) নির্মিত কোনও অবকাঠামো নয়। এটি সম্পূর্ণভাবে এলাকাবাসীর সেচ্ছাশ্রমে নির্মিত তাই জরুরি ভিত্তিতে পাউবোর পক্ষে কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব নয়। এটির ডিজাইন দ্রুত তৈরি করে আগামী ৫ এপ্রিল উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়ে বাঁধটি স্থায়ীভাবে মেরামতের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।