গরম দুধ খেলে কি ঘুম ভালো হয়?

উত্তরটি হচ্ছে হ্যাঁ। পুষ্টিবিদ অরুন্ধতী জানান, দুধে ট্রিপটোফ্যান নামক অ্যামাইনো অ্যাসিড থাকে। এতই শরীরে সেরোটোনিন হরমোনের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। এই হরমোন শরীর শান্ত করে, ফলে ঘুম পায় বেশি। পুষ্টিকর, ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার, লো-ফ্যাট ডায়েট, সঙ্গে পরিমিত পরিমাণে লিন প্রোটিন (চিকেন বা মাছ) এবং কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট খেলেও অনিদ্রার সমস্যা কমবে। শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট থাকলে, আমাদের ব্রেনও বেশি পরিমাণে সেরোটোনিন নিঃসরণ করতে শুরু করে। ফলে বেশ শান্ত এবং রিল্যাক্সড এক মানসিক অবস্থার সৃষ্টি হয়, যা ভালো ঘুমের জন্য ভীষণ জরুরি।

এছাড়া ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়ামের অভাবও অনিদ্রা ডেকে আতে পারে। দুধে এই সব ধরনের মিনারেলই পরিমিত পরিমাণে থাকে। তাই ঘুমও ভালো হয়।

শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা বা অবস্থা থেকেও অনিদ্রা দেখা দিতে পারে। হরমোনাল সমস্যা, নার্ভ ট্রান্সমিশন ইত্যাদি যাবতীয় বিষয়ের সঙ্গে ঘুমের সরাসরি যোগ রয়েছে। সবকিছু স্বাভাবিক রাখতে চাইলে সন্ধ্যার পর ভারী খাবার খাওয়া বন্ধ রাখার পরামর্শ দেন অরুন্ধতী। পাশাপাশি নিয়মিত শরীরচর্চার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।

যদি সম্প্রতি অনিদ্রার সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে, তাহলে ডায়েট চার্ট থেকে কফি, সফট ড্রিঙ্ক, তেল-মসলাদার খাবার ইত্যাদি বাদ দিন। তেল-মসলাদার খাবার হজম হতে বেশি সময় নেয়, ফলে শারীরিক নানা অস্বস্তি দেখা দিতে পারে। এতে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটার আশঙ্কাও প্রবল। রিফাইন্ড সুগার বা অন্যান্য প্রসেসড খাবারও রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। স্বাস্থ্যকর ডায়েট মেনে চলার পাশাপাশি রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ঈষদুষ্ণ দুধে অল্প মধু মিশিয়ে পান করুন। ঘুমানোর আগে ক্যামোমাইল টি খেলেও উপকার পাবেন। এটি নার্ভ শান্ত করে, ফলে ঘুমও তাড়াতাড়ি আসে।

তথ্য: সানন্দা