বিশ্ব করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পরে সবার আগে বলা হয়, মাস্ক পরতে হরে। সেই মাস্ক বিশেষ ধরনের হতে হবে। যাতে সংক্রমণ না বাড়ে। এরপর মাসের পর মাস কেটে যেতে থাকলে কাপড়ের নানা মাস্ক তৈরি শুরু হয়। বিভিন্ন অনলাইন দেখা যায় বাহারি মাস্ক। কিন্তু করোনা ঠেকাতে সেট কতটা কার্যকর—এমন প্রশ্ন থেকেই যায়।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে যেকোনও ফ্যাশনেবল মাস্ক পরা থেকে সতর্ক থাকতে বলছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। ঘরে ঘরে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। এসময় কেবল বিভিন্ন রকম ফ্যাশনেবল মাস্ক পরে রোগীর আশেপাশে থাকলে সেটি ক্ষতির কারণ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তবে রোগীর আশেপাশে বা ভিড়ের মধ্যে না যেতে হলে ভাল মানের ফেব্রিক্সের মাস্ক পরা যেতে পারে। যেকোনও ভিড় বা রোগীকে দেখভালের বিষয় থাকলে অবশ্যই সার্জিক্যাল মাস্ক দুটো একসঙ্গে ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে ভিড়ে যেতে হলে একটি সার্জিক্যাল মাস্কের ওপর ফ্যাশনেবল মাস্ক ব্যবহার করা যেতে পারে।
শ্বাসনালী থেকে বেরিয়ে আসা ক্ষুদ্র জলকণা (ড্রপলেট), যা কথা বলা, গান গাওয়া, কাশি বা হাঁচি দেওয়ার সময় বেরিয়ে আসে, তার মাধ্যমে কোভিড ছড়ায়। এখন প্রতি ঘরে ঘরে করোনার সংক্রমণ। একজন থেকে আরেকজন আইসোলেটেড সবসময় থাকতে পারা যায় না, স্বজনকে হাসপাতালে নেওয়ার সময় কাছাকাছি থাকা হয়। সে সময় নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে গ্লাভস পরবেন, কিন্তু মাস্ক যদি একটি পরেন বা মানসম্মত তিন লেয়ারের ভাল ফেব্রিকের মাস্ক না পরেন তাহলে সংক্রমিত হওয়ার শঙ্কা থাকে।
তবে যদি ভিড়ে যেতেই হয়,তাহলে অবশ্যই ভালো মাস্ক পরতে হবে। তবে ভিড়ের জায়গাতে সার্জিক্যাল মাস্ক ভেতরে পরতে হবে। কেউ যদি চান তাহলে তার উপরে কাপড়ের ফ্যাশনেবল মাস্ক পরতে পারেন। সার্জিক্যাল মাস্ক সবসময়ে ভেতরে থাকবে, সেটা এন-৯৫ বা কেএন-৯৫ যেটাই হোক না কেন, বলেন ডা. নুসরাত সুলতানা।