আধুনিক রান্নাঘরের অন্যতম প্রয়োজনীয় অনুষঙ্গ হচ্ছে ননস্টিকের তৈজসপত্র। তুলনামূলক কম ঝামেলায় রান্না শেষ করার জন্য ননস্টিকের জুড়ি নেই। আবার পরিষ্কার করার জন্যও পোহাতে হয় না বাড়তি ঝক্কি। জেনে নিন ননস্টিক তৈজসপত্রের খুঁটিনাটি বিষয়-
ননস্টিকে রান্নার সময় তুলনামূলক কম তেল দিন। এ ধরণের তৈজসের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো এতে তলায় লেগে যাওয়ার ভয় থাকে না।
অ্যালুমিনিয়ামের বাসন-কোসনের সাথে ননস্টিকের তৈজসপত্র না রাখাই ভালো।
রান্না শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গরম অবস্থায় ননস্টিকের তৈজস পানিতে ডুবাবেন না। ঠাণ্ডা হওয়ার পর তারপর পরিষ্কার করুন।
ননস্টিকের তৈজসপত্র পরিষ্কার করার আগে কিছুক্ষণ পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। তারপর নরম স্পঞ্জ দিয়ে হালকা করে ঘষে পরিষ্কার করুন। কখনো ধারালো কিছু দিয়ে কিংবা বল প্রয়োগ করে এ ধরণের তৈজসপত্র পরিষ্কার করতে যাবেন না। এতে স্ক্র্যাচ পড়ে যাওয়ার আশংকা থাকে।
ছাই, বালি বা অতিরিক্ত ক্ষারযুক্ত সাবান দিয়ে ননস্টিক পরিষ্কার করা অনুচিত। লিকুইড সাবান দিয়ে পরিষ্কার করুন ননস্টিকের বাসন কোসন।
পরিষ্কার শেষে শুকনা কাপড় দিয়ে মুছে নির্দিষ্ট জায়গায় তুলে রাখুন।
ননস্টিকে রান্নার সময় স্টিলের খুন্তি ব্যবহার না করলে ভালো করবেন। কারণ অসাবধানতায় খোঁচা লেগে বাসনের উপরের অংশে থাকা এনামেলের কোটিং উঠে যেতে পারে। প্লাস্টিক বা কাঠের চামচ ব্যবহার করাই নিরাপদ।
ননস্টিক কুকওয়্যারের ঢাকনি হিসেবে ননস্টিক প্যানকভার ব্যবহার করতে পারেন।
ননস্টিকের হাড়ি বা প্যান চুলার উপর খুব বেশি আঁচে দীর্ঘক্ষণ রাখবেন না।
খুব বেশি টক খাবার ননস্টিকের আয়ু কমায়। তাই এ ধরণের খাবার ননস্টিকে রান্না না করাই ভালো।
ননস্টিকের তৈজস চুলা থেকে নামানোর সময় আশেপাশের অংশ না ধরে প্লাস্টিকের হাতল ধরে তারপর নামান।
অনেক সময় দীর্ঘদিন ব্যবহারের ফলে ননস্টিক বাসনে দাগ পড়ে যায়। এ দাগ দূর করার জন্য অল্প পানির সাথে সিরকা মিশিয়ে চুলার মৃদু আঁচে কয়েক মিনিট নাড়ুন। দাগ উঠে যাবে।
ননস্টিকের তৈজস পরিষ্কার করার পর র্যাকে ঝুলিয়ে রাখুন। দীর্ঘদিনের জন্য তুলে রাখতে চাইলে নরম কাপড় দিয়ে মুড়িয়ে তারপর কেবিনেটে রাখুন।
ননস্টিকের তৈজস কেনার সময় ভালো ব্র্যান্ড দেখে কেনা উচিত। এতে দীর্ঘদিন ভালো থাকবে আপনার দামী তৈজসটি।
/এনএ/